| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, ছাত্রী হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ 


অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, ছাত্রী হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ 


রহমত ডেস্ক     16 January, 2022     09:27 PM    


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-শাবিপ্রবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (১৬ জানুয়ারি) রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে DBU বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদেরউপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ (লিজা) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর জায়গায় নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তাঁর কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়লে তাঁর সঙ্গে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে ভবনের ভেতরে ঢুকতে চাইলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেন। তখন বাগ্‌গবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ ২৭টি রাবার বুলেট ও ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসে। এ সময় অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন হলের কয়েক শতাধিক ছাত্রী। এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে ছাত্রীরা তিন দফা দাবিতে গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রধান রাস্তা ‘কিলো সড়ক’ অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অনেক ছাত্রী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস–পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেন।