| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত চলতি বছরেরই চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ হবে : আইনমন্ত্রী


চলতি বছরেরই চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ হবে : আইনমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     15 January, 2022     07:52 PM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটা হাইকোর্ট বেঞ্চের দাবী আপনাদের। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন। আশা করি এ বছর শেষ হওয়ার আগেই চট্টগ্রামে হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ হবে। সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু বদ্ধ পরিকরই নয়, এজন্য যা যা করার তাই করা হবে। দেশে যত গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে সেখানে আইনজীবীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। জাতি এটা কখনোই ভুলবে না।

আজ (১৫ জানুয়ারি) শনিবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘আইনজীবী মিলন মেলা-২০২১’ এর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামের আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে দেশের দ্বিতীয় প্রধান এই নগরে হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ‘হাই কোর্ট সার্কিট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম’ প্রায় ৩৩ বছর ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নতুন আদালত ভবন উদ্বোধন করে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে যত দ্রুত সম্ভব হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ‘হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ বাস্তবায়ন পরিষদ, চট্টগ্রাম’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সে সময়ের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে ‘কিছু সাংবিধানিক সমস্যা’ আছে। এরপর ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে সিলেট আইনজীবী সমিতির নৈশভোজে বিচারপতি সিনহা চট্টগ্রাম ও সিলেটে হাই কোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের কথা বলেছিলেন। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যেও ‘ঢাকার বাইরে হাই কোর্টের বেঞ্চ হলে তা চট্টগ্রামেই হবে’ বলে আশ্বস্ত করেন বিচারপতি সিনহা। এরপর বিষয়টি আর এগোয়নি। চার বছর পর শনিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনজীবীদের আবার আশার কথা শোনালেন।

১৯৮২ সালের ১১ মে চট্টগ্রামে হাই কোর্টের একটি স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালের ১৭ জুন সামরিক ফরমানের ৪ (এ) ধারা সংশোধন করে স্থায়ী বেঞ্চকে সার্কিট বেঞ্চ (অস্থায়ী) করা হয়। ১৯৮৬ সালে সংবিধান পুনরুজ্জীবনের পর সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুসারে সার্কিট বেঞ্চের বিধান থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের ছয়টি সার্কিট বেঞ্চ বহাল থাকে। পরে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর ২(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, ছয়টি সার্কিট বেঞ্চই আবার স্থায়ী বেঞ্চের মর্যাদা পায়। ১৯৮৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাই কোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ সংক্রান্ত অষ্টম সংশোধনীর ২(ক) অনুচ্ছেদটি বাতিলের আদেশ দিলে চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা ও সিলেটের হাই কোর্ট বেঞ্চগুলো ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সংবিধানে ‘সুপ্রিম কোর্টের আসন’ শিরোনামের ১০০ অনুচ্ছেদে বলা আছে- “রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকিবে, তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লইয়া প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে অন্য যে স্থান বা স্থানসমূহ নির্ধারণ করিবেন, সেই স্থান বা স্থানসমূহে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে।”