রহমত ডেস্ক 08 January, 2022 07:48 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে শনিবার সকালে দুইবার বাধার মুখে পড়েন বাংলোদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি। রুমিন ফারহানা বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই এলাকার বটতলীতে সমাবেশস্থলে আসেন। সমাবেশস্থলের কয়েক শ গজ দূরে নেমে তিনি মঞ্চে যান। পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভৈরব ব্রিজে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। আশুগঞ্জে আবার বাধা দেওয়া হয়। প্রেসের সাথে কথা বলার জন্য আশুগঞ্জের একটি হোটেলে যেতে দেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আজকের এ সমাবেশ প্রমাণ করে পুলিশ দিয়ে পারবেন না। রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়েও নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেননি। সরকারের অনেক ভয়। দেশনেত্রী ও তারেক রহমানকে ভয়। যে কারণে দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে। একটা একটা রক্তবিন্দুর হিসাব আমরা নেব। এর বিচার নেব। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা সবাই জেগে উঠেছেন। যত দূর দেখি তত দূরই বিএনপি নেতাকর্মী। তারা পুলিশকে ভয় পায় না, তারা প্রশাসনকে ভয় পায় না। গতকালকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করেছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনোভাবেই দমাতে পারে নাই।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন। এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি দেখে যান। আমার কোটি কোটি ভাইয়ের সমর্থন দেখে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া তো সেই মাটি, যেখানে মোরগও লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখানে ১৯৫২ সালে অলি আহাদ ভাষার জন্য ১৪৪ ধারা ভেঙিছিলেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে ১৪৪ ধারা কাজ করে না। ১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না। যারা আশপাশে মিত্র শক্তি ঘিরে রাখে তারা মনে করে মানুষের ভোটের দরকার নাই। আমেরিকা স্যাংকশন দিয়ে রেখেছে। তাদের পেটুয়া বাহিনীর ওপর স্যাংকশন দিয়ে রেখেছে। তারা ভেবেছিল, যে টাকাগুলো চুরি করেছে সেগুলো দিয়ে কানাডায় বেগমপাড়া বানাবে। আমেরিকা যাবে, মালয়েশিয়া যাবে। সেই সুযোগ আর নাই। যে স্যাংকশন এসেছে এই দেশেই তাদের বিচার হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমাবেশ ডাকে জেলা বিএনপি। একই সময় ছাত্রলীগও একই স্থানে সমাবেশ ডাকে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরে স্থান পরিবর্তন করে স্থানীয় বটতলী বাজারে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। দুপুর সাড়ে ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএপির সমাবেশ চলছে।