রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 17 November, 2021 11:16 PM
জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের এই বৈরি সময়ে ভালো থাকতে সবুজের বিকল্প নেই। হাদিসেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছ লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।
চাইলে আপনিও প্রকৃতির ছোঁয়ায় ভরে তুলতে পারেন ঘরটা। এতে আপনার ঘর ও মনে সতেজতা আসবে নিশ্চয়ই। ঘরের কোথায় কোথায় সবুজের ছোঁয়া দেওয়া যেতে পারে, আসুন সেসব বিষয় জেনে নিই :
শোবার ঘর
শোবার ঘরে বেডের পাশে থাকা ল্যাম্পের টেবিলে গাছ রাখা যেতে পারে। গাছ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে রুমের দেওয়ালে পেরেক গেঁথে যেখানে গাছের পট ঝুলাতে পারেন অথবা আলাদা কোনো স্ট্যান্ড বা টেলিভিশন রাখার টেবিলে কেবিনেট করে সেখানেও কিছু গাছ রাখতে পারেন।
পড়াল টেবিলের সাজ
পড়ার টেবিলে গ্লাসে পাথর দিয়েও গাছ রাখা যেতে পারে। পড়ার সময় মন উৎফুল্ল থাকবে। বেশি শখ থাকলে পটে মাটি দিয়ে গাছ রাখতে পারেন। রাখার মতো টেবিল না থাকলে দেয়ালে ঝুলানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বসার ঘর
সবুজ রঙ চোখের জন্য ভালো। অক্সিজেন বাড়ানো ও মনের জন্য ঘর সবুজায়ন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শুরুতে বসার ঘরের দিকে খেয়াল দিতে হবে। বাসায় ঢুকতে আমরা যদি সবুজ দেখতে পাই, সারাদিনের ক্লান্তি দূর হতে পারে। কেবিনেট থাকলে শুরুতে সেখানে জীবন্ত সবুজ রাখব। ছোট বাসায় বসার ঘরে এবং বড় বাসায় লবিতে থাকা কেবিনেটেও গাছ রাখতে পারেন। সৌন্দর্যবর্ধনে গাছ ভূমিকা রাখবে।
সু-র্যাক
লবিতে সু-র্যাক থাকলে সেখানে মাটির বা প্লাস্টিকের টবে গাছ রাখা যেতে পারে। এতে সুবিধা হবে ইতিবাচক একটা মন নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে পারব।
ডাইনিং স্পেস
ডাইনিং স্পেসে কিছু জায়গা ফাঁকা থাকে। তবে মাঝখানে মানি প্ল্যান্ট, ট্রাফিনা রাখা যেতে পারে। এগুলো খুব জনপ্রিয় গাছ। বেসিং রুমেও কিছু ঝুলন্ত গাছ রাখতে পারেন।
বাথরুম
অনেকে একটি বিশেষ জায়গার কথা ভুলে যায়। সেটি হলো বাথরুম। এই জায়গায় বেশি জীবাণু থাকে, তাই সতর্কতা প্রয়োজন। এখানে গ্রাফিনা আর দুটি অ্যালোভেরা গাছ রাখা যেতে পারে। এতে বাতাস জীবাণুমুক্ত হবে।
রান্নাঘর
সাধারণত রান্নাঘরের সঙ্গে লাগোয়া বারান্দা থাকে। শখ ও সময় থাকলে বক্সে সবজি বাগান করা যেতে পারে। টবে পুদিনা অথবা ধনে পাতার চারা লাগানো যেতে পারে। এতে শখ পূরণের পাশাপাশি সবজি ও মসলাও খেতে পারবেন। একই সঙ্গে বাতাস বিশুদ্ধ হবে। রান্নার ঘর যেহেতু খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেহেতু সবজি, ফলমূল গাছ থাকতে পারে। তা না হলে অন্যান্য রুমের মতোই দেশি-বিদেশি গাছ থাকতে পারে।
বারান্দা
বারান্দা বা ব্যালকনিতে অ্যালোভেরা, শাপলা গাছ লাগানো যেতে পারে। চৌবাচ্চায় শাপলা রাখা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে মশার আড্ডা যেন না হয়। বারান্দার গ্রিলেও অনেক গাছ ঝুলানো যেতে পারে। হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকলে বাগান করতে পারেন। কাঠের ফ্রেম করে পুরো দেয়ালে গাছের টব রাখতে পারেন।
বাসার জানালা
সাধারণত বাসার জানালার পর্দা খুব বেশি টাঙানো হয় না। চাইলে এখানেও গাছ ঝুলাতে পারেন।
গাছ রাখার হ্যাঙ্গার
এখন বাজারে সুন্দর সুন্দর হ্যাঙ্গার পাওয়া যায়। মাটি, মেটাল, প্লাস্টিক, কাঠের হ্যাঙ্গার আছে। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এগুলোতে গাছ রাখতে পারেন। তবে মাটিরগুলো বেশি ভারী হয়ে যায়। মেটাল ও পাটের হ্যাঙ্গারগুলো সুন্দর বেশি। বেতের হ্যাঙ্গারগুলোও বেশ স্থায়ী। তবে প্লাস্টিকের ডিজাইন ভালো, ঝুলাতে সুবিধা হলেও দেখতে ভালো না।
সতর্কতা
ঘরে রাখা গাছের গোড়ার পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কারণ টবে পানি জমে থাকলে ডেঙ্গুর লার্ভা জমা বা অন্যান্য পোকামাকড় বাসা তৈরি করতে পারে। পানি, পাথর ছাড়াও গাছগুলোর গোড়ায় মাটি রাখা। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে।
/জেআর/