শ্রীপুরে এসআইকে ‘সম্মান’ না করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তৎকালীন এসআই মঞ্জুরুল হককে (বর্তমানে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানায় কর্মরত) সম্মান না করা ও অভিযুক্তের মাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করায় নিরীহ যুবক রাসেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাসেল উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মামলাটির সঠিক ও নিরপেক্ষ
তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এস আই’র প্রতিহিংসার শিকার যুবক রাসেল।

বুধবার (১৪অক্টোবর) বেলা ১২টায় কাওরাইদ বাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাসেল এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাসেল অভিযোগ করেন, কাওরাইদ গ্রামের আলী’র ছেলে নয়ন ও নুরুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা’র সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারজানার পরিবার জানতে পেরে ফারজানাকে তার বাবা-মা পাশের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার শহীদনগর গ্রামের এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন। মেয়ের অমতে বিয়ে দেওয়ায় কয়েকদিন পর সে ওই স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। পরে আবারো ফারজানা তার পুরনো প্রেমিক নয়নের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে গত ২৮ মে ফারজানা নয়নের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে।

এ ঘটনার জেরে ফারজানার মা কাওরাইদ গ্রামের আলী’র ছেলে নয়ন, তাঁর মা মমতাজ বেগম ও রাসেল নামের এক যুবককে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

শ্রীপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এস আই) মঞ্জুরুল হক (বর্তমানে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানায় কর্মরত) বাদীকে দিয়ে তাকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে মামলার বাদী শেফালী বেগমকে খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, রাতের বেলায় পুলিশ নিয়ে নয়নের বাড়িতে যাওয়ার পর রাসেল সেখানে পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রীপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এস আই) মঞ্জুরুল ইসলাম মামলায় ওই যুবক রাসেলের নাম দিতে বলেন। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, রাসেল এঘটনায় জড়িত নয়। কিন্তু রাসেলের নাম না দিলে মামলা হবে না বলে এসআই সাফ জানিয়ে দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এস আই) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মামলায় কাকে অভিযুক্ত করবে বা করবে না এটা একান্তই বাদীর বিষয়। বাদীর লিখিত অভিযোগেই মামলা রুজু হয়েছিল।

-জেড

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: