| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিন্দা


নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিন্দা


রহমত নিউজ     06 September, 2025     02:19 PM    


রাজবাড়ী গোয়ালন্দে নুরাল পাগলা স্বঘোষিত এক ইমাম মাহদির লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ মারা যাওয়ার পর ইসলামিক রীতিনীতির বাইরে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার লাশকে বাড়ির আঙিনায় ৬–১০ ফুট উঁচু ঘরে কাবার আদলে রাখা হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে ইসলামের কবর ও দাফন সংক্রান্ত বিধি-বিধানের পরিপন্থী। অত্র এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এ ঘটনা গভীর প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে।

মাওলানা জালালুদ্দীন আরও বলেন, প্রশাসন যদি তখন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে এই ইসলাম বিরোধী দাফন প্রতিহত করা সম্ভব হতো। কিন্তু প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে সেখানে কিছু দুষ্কৃতিকারীর প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয় এবং এরপর নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পোড়ানোর ঘটনা ঘটে, যা আরও একটি স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী কাজ।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, প্রথম ঘটনার সময় প্রশাসন কার্যকর থাকলে দ্বিতীয় ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব হতো। সুতরাং সামগ্রিকভাবে দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই আমরা নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি: ইসলাম বিরোধীভাবে দাফন করা এবং লাশ পোড়ানো। আমরা গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি ও উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না থাকার কারণে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে এবং আইন-বিরোধী কার্যকলাপের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী কখনোই লাশকে এভাবে দাফন বা পোড়ানোর অধিকার রাখে না।

সবাইকে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুধু এই দুই ঘটনার নিন্দা জানাই না, বরং যারা প্রথম ঘটনার সময় আইনানুগভাবে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের দায়বদ্ধতারও তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। দেশের শান্তি, আইনশৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের আরও জোরদার ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ অপরিহার্য।