রহমত নিউজ 02 July, 2025 08:22 PM
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলাম ও মুসলিম দেশ গুলোর জন্য কোন উপকারে আসে নাই। তারা যেসব দেশে অফিস খোলে সেদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। জাতিসংঘের কথিত মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এবং মুসলিম দেশের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকার নিবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলাম ও মুসলিম দেশ গুলোর জন্য কোন উপকারে আসে নাই। তারা যেসব দেশে অফিস খোলে সেদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। জাতিসংঘের কথিত মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এবং মুসলিম দেশের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকার নিবে।
অতীত অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে জাতিসংঘ ইসলামী শরিয়াহ, পারিবারিক আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করে ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, মাওলানা গাজী ইউসুফ, মাওলানা নূরুর রহমান, জনাব শাহিন আলম চৌধুরী প্রমুখ।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, মানবাধিকার রক্ষার নামে তারা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে নাক গলাবে। ইসলামী মূল্যবোধের উপরও আঘাত হানবে। নারী-পুরুষের সমতা বিধানের নামে তারা বাংলাদেশে বলবৎ ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে তারা পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাবে। সার্বজনীন যৌন শিক্ষার নামে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবাধ যৌনাচার, জিনা-ব্যভিচার, সমকামীতা ও ট্রান্সজেন্ডারের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা চালাবে। যা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নিবে না।
মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, দেশে দেশে মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রর ভূমিকা নেই। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মুসলিম নারী শিশুকে হত্যা করে ইসরাইল মানবাধিকারের কবর রচনা করেছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ কারো গোলামী করে বাঁচতে চায় না, ভারতীয় আধিপত্য যেমনি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তেমনিভাবে মার্কিনসহ অন্য কোন রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না।
মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী বলেন, বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের সুযোগ দিলে এরা রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। অবিলম্বে এই দেশ বিরোধী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।