রহমত নিউজ 15 January, 2025 09:08 PM
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ৫০৫টি আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ আসন আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ, ৩০০ আসন নিম্নকক্ষ ও ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম কোনো সংরক্ষিত আসন থাকবে না। তাই নারীদের জন্য সংসদে কোনো সংরক্ষিত আসন চাই না। তাদের জন্য আমরা সাধারণ নির্বাচন চাই।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের হোটেল পুস্পদম এ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব কে এম বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান ও সহ-সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, নারীদের সমান অধিকারের কথা বলে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা মানে তাদেরকে অপমান করা। নারীদের অযোগ্য মনে করে এটা করা হয়। তাদের অযোগ্য মনে করবেন না। তাদেরকেও লড়তে দিন, সংরক্ষিত আসন আমরা চাই না।
তিনি আরও বলেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন করার অর্থ তাদেরকে দুর্বল করা। কোনো নারী লড়াই করতে পারবে না এমন প্রস্তাব আমরা করলে প্রশ্ন করা যেত। আমি সংরক্ষিত আসন চাই না। আমি চাই সবার সরাসরি ভোটে লড়াই করবে।
তড়িঘড়ি করে নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন দেওয়া হলে সে নির্বাচন ব্যর্থ হবে। ছাত্র-জনতা ও আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের রক্ত ও ত্যাগের ওপরে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে হটতে বাধ্য হলেও এখন আবার নব্য ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশকে দখল করেছে। এক চাঁদাবাজ তাড়িয়ে আরেক চাঁদাবাজকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।