মূল পাতা আন্তর্জাতিক যৌন হয়রানি নিয়ে আবারও সরগরম ইসরাইলি বাহিনীর নারী সদস্যরা
শেখ আশরাফুল ইসলাম 26 September, 2024 08:33 PM
যৌন হয়রানি নিয়ে আবারও সরগরম হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর (আইডিএফ) নারী সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন তারা। সম্প্রতি ইহুদিদের ধর্মীয় নেতাদের চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি ফের সামনে এসেছে।
ইহুদিদের সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রজন্মকে রক্ষার স্বার্থে মহিলাদের সেনাবাহিনীতে চাকরি করা উচিত নয়। সেখানে যৌন হয়রানি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।
এর আগে ২০২১ সালে স্টেট কম্পট্রোলারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলী বাহিনীর নারী সদস্যদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়। পরবর্তীতে অভিযোগ দায়ের করলেও সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন যৌন হয়রানির শিকার সেসব নারীরা।
ভূক্তভোগীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের অভিযোগ সঠিকভাবে দেখা হয়নি আর ২৬ শতাংশ বলেছেন, তাদের অভিযোগ আদৌ দেখা হয়নি।
ইসরাইলি বাহিনীর সাবেক এক নারী সদস্য বলেছেন, সেনাবাহিনীতে নারীদের যে ভূমিকা রয়েছে তা অবমূল্যায়ন করা দায়িত্বজ্ঞানহীন। সেনাবাহিনীতে নারীদের মর্যাদাকে এগিয়ে নিতে আরও অনেক কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূর করতে হবে। নারীদের জন্য সেনাবাহিনীতে নিরাপদ অবস্থান তৈরি করতে হবে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি নারী সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে আইডিএফে দুই বছর কাজ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত কারণে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয় তাদের। এ ছাড়া নারীরা গর্ভবতী হলে কিংবা ধর্মীয় কারণেও বিশেষ ছাড় পায় তারা।
এদিকে ইহুদি ধর্মীয় সমাজের একটি ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীও চায় নারীরা সেনাবাহিনীতে যুক্ত না হয়ে অন্যান্য জাতীয় সেবায় নিয়োজিত হোক।
গত বছর ইসরাইলি বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি যৌন হয়রানির এই ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছিলেন। সেই সাথে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের যৌন হয়রানির সমস্যা দ্রুত সমাধানের।
কোহাভি বলেছিলেন, কথায় বা কাজে যেকোনো যৌন আক্রমণ ও মানবিক মর্যাদার উপর আঘাত গুরুতর অপরাধ। এসবের সাথে জড়িতদের অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার হবে।
কোহাভির সেই বক্তব্যের পর এক বছর কেটে গেলেও বন্ধ হয়নি ইসরাইলি বাহিনীর নারী সদস্যদের যৌন হয়রানি।