| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে পুলিশে চাকরি করব না’


‘মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে পুলিশে চাকরি করব না’


রহমত নিউজ     11 August, 2024     06:17 AM    


ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান টুকু।

রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান টুকু। এ নিয়ে আবারও দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।

মনিরুজ্জামান টুকু ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত মোশাররফ হোসেন সোনা শিকদারের ছেলে। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

পদত্যাগ পত্রে মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার আগের কয়েকদিন ও বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষার নামে নিজেদের ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথকে দীর্ঘায়িত করার মানসে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বর্বর আদেশে শিশু-কিশোরসহ বহু মানুষকে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বর্তমানে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষের ঘৃণার পাত্র হিসেবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে ইচ্ছুক নই।

এর আগে গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন মনিরুজ্জামান।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বেশ কয়েকদিন যাবৎ, বিবেকের তাড়নায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছি প্রতিনিয়ত, দেশের ২০০-২৫০ জন শিশু-কিশোর-যুবক-যুবতীকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের বাবা-মার ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্র-গুলি দিয়ে। আর এই হত্যাকারীরা হলো বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যাদের জীবন-জীবিকাও চলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। পুলিশ বাহিনীকে গণমানুষের শত্রুতে পরিণত করা হয়েছে।

এ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। শত শত বছরের ইতিহাসে পৃথিবীর কোনো নিষ্ঠুরতম স্বৈরাচারী সরকারের আদেশে দেশের কোনো বাহিনী মাত্র দু-তিন দিন সময়ের মধ্যে এত শিক্ষার্থীকে হত্যা করেনি।’