| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি দ্রব্যমূল্য কমাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটাম


দ্রব্যমূল্য কমাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটাম


রহমত নিউজ     11 August, 2024     05:36 AM    


আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থাকে আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এসব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (১১ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময়সভায় শিক্ষার্থীরা এ আলটিমেটাম দেন। বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এতদিন নানা ধরনের অন্যায় ও অনিয়মের সঙ্গে ছিলাম। এখন শপথ করতে হবে আমরা আর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অন্যায়, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও দখলদারি করব না। তারপর রাষ্ট্রসংস্কার করতে হবে। তা না হলে আমাদের এত আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেন ইয়ামিন মোল্লা। সেগুলো হলো- বিপ্লবী ছাত্র-জনতা টিম করে প্রতিটি শহর, জেলা, উপজেলা, পাড়া ও মহল্লায় বাজার মনিটরিং করবে। তবে তারা কাউকে জরিমানা করতে পারবে না। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি বিক্রেতার নিত্যপণ্য ক্রয়ের রসিদ রাখতে হবে। প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙাতে হবে। কেউ বাজার, রাস্তা ও দোকান দখল করে ব্যবসা করলে তাকে উৎখাত করতে হবে। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, সেটি প্রতিরোধ করতে হবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের জনবল বাড়াতে হবে।

ভোক্তার ডিজি এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা চাপমুক্ত হতে চাই তোমাদের (শিক্ষার্থী) মাধ্যমে। তোমাদের হাতটা এত শক্তিশালী হয়েছে, যেখানে হাত দেবে সেখানেই সোনা ফলবে। আমরা আসলেই ব্যর্থ হয়েছি। আমরা এখন তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি।

উপপরিচালক আতিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণা) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকে।