| |
               

মূল পাতা জাতীয় শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আলেমদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়


শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আলেমদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়


রহমত নিউজ     01 August, 2024     05:20 AM    


ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বেইলী রোডে ধর্মমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনস্থ সভাকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আলেমরা খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় আলেমরদের এভাবে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
 
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আলেম-উলামারা আমাদের সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তারা অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উলামায়ে কেরামদের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও উন্নয়ন-অগ্রগতিকে গতিশীল রাখতে আলেমদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। 

সম্প্রতি অগ্নি সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস করা হয়েছে তার নেপথ্যে যারা ছিলো তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদেরকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর খেদমতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলাম শিক্ষার প্রসার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমেই কেবল ইসলাম ও দেশের সামগ্রিক উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কোন কুচক্রী মহল যাতে আলেম-উলামাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হুছামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেম- ওলামারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন সে বিষয়ে আলেমদের পক্ষ থেকে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে। এছাড়া, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতে কোন সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ধর্মসচিব মু. আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েব আমীর ও দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতী মো.রুহুল আমিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, দারুল উলুম রামপুরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম, বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান ফরাজী তেজগাঁও, মাওলানা ড. মুশতাক আহমদ, মাওলানা ড. আব্দুর রাজ্জাক আল আজহারী, মাওলানা এমদাদুল্লাহ খুলনা, মাওলানা বেলায়েত হোসেন আল ফিরোজী, মাওলানা রুহুল আমিন সিরাজী, মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান নকশেবন্দী, মাদানী নগর মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও সন্দ্বীপের পীরের জামাতা মাওলানা আহসানুল্লাহ, নানুপুরের পীরের প্রতিনিধি মাওলানা শওকত বিন হানিফ ও সৈয়দ মবনু সিলেট।