| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল কওমী মাদরাসা বিরোধী শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে : মাওলানা জালালুদ্দীন


কওমী মাদরাসা বিরোধী শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে : মাওলানা জালালুদ্দীন


রহমত নিউজ     04 March, 2024     10:46 PM    


শিক্ষামন্ত্রী নওফেল ডিসি সম্মেলনে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

আজ (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন“যত্রতত্র মাদরাসার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী কমছে” শিক্ষামন্ত্রীর এ কথা সত্য নয়। মূলত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি প্রাইমারী স্কুলগুলোতে যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় এবং দলীয় লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কারণে প্রকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদরাসায় দিচ্ছে। এতে তো শিক্ষামন্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা। মাদরাসার শিক্ষকদের সরকারী বেতন দিতে হয় না। এ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক গড়ার কাজ করছে। শিক্ষামন্ত্রীর নাখোশ হওয়ার পিছনে কারণ রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী কট্রর মৌলবাদী সংগঠন ইসকনের সদস্য। যত্রতত্র মাদরাসা দেখলেই তার গাত্রদাহ শুরু হয়। তার ইচ্ছা আগামী প্রজন্মের মুসলিমদের ঈমান আকিদা ধ্বংস করা। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে তার ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে দেবে না সচেতন অভিভাবকরা।

তিনি বলেন, দুভার্গ্যভাবে সত্য স্বাধীন একটি দেশে হিসেবে এবং সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের কৃষ্টি কালচার অনুপাতে বাংলাদেশের শিক্ষা কারিকুলাম প্রবর্তিত হয়নি। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে গবেষণা করুন। বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে আগামী প্রজন্মের জন্য নৈতিকার কি উৎস আছে। নুরানী মাদরাসাগুলোতে আরবীর পাশাপাশি বাংলা অংক ইংরেজী সাধারণ জ্ঞানসহ বিভিন্ন শিক্ষা দেওয়ার কারণে একজন অভিভাবক মনে করছে তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি না করে মাদরাসায় ভর্তি করলে তার সন্তান যেমনিভাবে নৈতিকতা শিখবে তেমনিভাবে সাধারণ জ্ঞানে পারদর্শি হবে। এজন্য অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদরাসায় ভর্তি করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের কৃষ্টি কালচারের আলোকে প্রণয়ন করুন এবং শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করুন দেখবেন স্কুলে কোনো শিক্ষার্থীর অভাব হবে না।