নতুন সরকার গঠনে জনগণের আশা আকাঙ্খার কিছু নেই: মাওলানা জালালুদ্দীন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসিচব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৭ জানুয়ারি খেল তামাশার নির্বাচন হয়েছে। শিশুরা ভোট দিয়েছে। জাল ভোটের ছড়া ছড়ি হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী পরাজিত প্রার্থীরাই অভিযোগ করেছে নির্বাচনে কারচুপী হয়েছে। সরকার নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে দেশের অধিকাংশ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একটি বিতর্কিত নির্বাচন করেছে। দেশের মানুষ এ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। বর্জনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে এ সরকারের অধীনে দেশের মানুষ নির্বাচন চায়না। নতুন সরকার গঠনে জনগণের আশা আকাঙ্খার কিছু নেই।

আজ (১১ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কর্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রমজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ আশিকুল ইসলাম  প্রমুখ।

মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, এ নির্বাচন করে দেশকে মহাসংকটের দিকে ধাবিত করা হয়েছে। দেশের জনগণ ও অধিকাংশ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলো। কিন্তু কারো কথায় কর্ণপাত না করে একতরফা নির্বাচন করেছে। এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে সরকার ও দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কে জিতবে এটাতো আগেই তালিকা হয়েগেছে। দেশের জনগণের টেক্সের টাকা ব্যয় করে এভাবে বিতর্কিত একটি নির্বাচনের আয়োজন করার কোনো দরকার ছিলো না? মানুষকে এতো বোকা ভাবা ঠিক নয়। মানুষ সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। সরকার পদত্যাগ করলেই সকল সমস্যার সমাধন হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ভাড়াটিয়া পর্যবেক্ষক দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠতা প্রমাণ করতে চেয়েছে কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে মন্তব্য করেছে।

 মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, দেশের মানুষ মহাকষ্টে আছে। এখন শাক সবজীর মওসুম। কিন্তু শাক সবজীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এতো বেড়েছে যে, মানুষের জীবন পরিচালনাই দুবির্ষহ হয়ে পড়েছে। জিনিস পত্রের দাম কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্রুত মুক্তি দিতে সরকরের প্রতি আহ্বান জানান।