আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ সচল করে দেয়া হবে : রেলমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে পদ্মা লিংক প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ উদ্বোধন করেবেন বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পদ্মা লিংক প্রকল্পের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আগামী পহেলা আগস্ট থেকে এই পথে সচল করে দেওয়া হবে। প্রকল্প থেকে ঠিকাদার নিজেকে প্রত্যাহার ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের সঙ্গে পদ্মা লিংকের সমন্বয়সহ বিভিন্ন কারণে এই পথে রেল সেবা সচল করা যায়নি। প্রকল্পটি শুরুতে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইনের ছিল। আমরা এই প্রকল্পকে পূণর্বিবেচনা করে ডাবল লেনে পরিবর্তিত করেছি। এটি একনেকে পাস হয়েছে। আমাদের এই প্রকল্পের জন্য আবার নতুন করে টেন্ডার করতে হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে। কবে আপাতত পহেলা আগস্ট থেকে আগের মতো ট্রেন চলাচল করবে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ প্রকল্পের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় পদ্মা লিংক রেল প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেনসহ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলমন্ত্রী আরো বলেন, চাষাঢ়া রেল ক্রসিংয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওভার পাস বা আন্ডার পাসের দাবি করে আসছিলেন। রেলে পক্ষে উপরে যাওয়া সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, শহর এলাকায় নানা ইউটিলিটি সার্ভিস জড়িত থাকায় যথা সময় জমি হস্তান্তর করতে না পারা ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ঠিকাদার প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাই আমরা নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়। আমাদের ঢাকা-যশোর পর্যন্ত মোট ১৭১ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতুকে অতিক্রম করে প্রকল্পটি অগ্রসর হচ্ছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বররের প্রথম সাপ্তাহের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ রেল নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখা হবে। এটি ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হবে। তিনি সময় দিলেই উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করা হবে।