কোরবানির বর্জ্য ৮ ঘণ্টায় পরিষ্কার করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র

পশু কোরবানির ৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সার্বজনীন কিউআর কোডভিত্তিক ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে ডিএনসিসি এলাকা। এরই মধ্যে রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু হয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করা হবে। ডিএনসিসি এলাকায় ৮ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে।

সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ শ্লোগানে ডিএনসিসি’র কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ স্মার্ট হাটের সহযোগী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতার এ বাজারে স্মার্ট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ভিশন থাকতে হবে পরিবর্তনের,যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছে। আমরা স্মার্ট মনিটরিংয়ের জন্য স্মার্ট পশুর হাট পেলাম, যেখানে সর্বোচ্ছ সেবা নিশ্চিত করা হবে। স্মার্ট হাটে ক্যাশলেস চালু হলে মলম পার্টি বা ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে, ডিএনসিসির সব লেনদেনে স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে পশুর হাটে মলম পার্টি বা ছিনতাইকারীর যে ভয় থাকে তা আর থাকবে না। মলম পার্টি বা ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে। ৬ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে ট্রেড লাইসেন্স। রিকশা নিরাপদ করতে কিউআর কোডের আওতায় আনা হবে।

স্মার্ট হাটের প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাটাই হলো সফলতা। পশুর হাটে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। সেবা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঝামেলামুক্ত স্মার্ট হাট নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের আরো একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, বনায়ন এবং ঢাকার সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন। কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৯ লাখ পলিব্যাগ বর্জ্য ফেলার জন্য দেয়া হবে।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা