সংবিধান অনুযায়ী সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায় : জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে অনেক বির্তক হচ্ছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী তাদের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়। তারা দলীয়করণ ও আইন শুদ্ধ করে নিজেদের ক্ষমতায় নেওয়ার নির্বাচন করার চেষ্টা করছে। এটি দেশে বহুদিন ধরে হয়ে আসছে। অপরদিকে নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে ভয় পায়। ৫ বছর মেয়াদে অনেক কাজ করার সুযোগ থাকলেও তারা দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের থেকে দূরে চলে গেছে।

আজ (২৮ মে) রবিবার বিকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয় প্রাঙ্গণে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর সিটির মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এসএম ইয়াসির আহমেদ, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট জেলা সদস্য সচিব জাহিদ হাসান লিমন, গাইবান্ধার সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন শাহীন, নীলফামারীর সদস্য সচিব সাজ্জাদ পারভেজ, রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি ফারুক আহমেদ মন্ডল, জেলার আহ্বায়ক মাহবুবার রহমান বেলাল, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত জীবন প্রমুখ।

জিএম কাদের বলেন, বাইরে গণতন্ত্রের লেবেল লাগিয়ে দেশের ভেতরে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের হয়ে কাজ করছে। তাই সরকার তাদের ইচ্ছেমত নির্বাচন পরিচালনা করছে। বাকশালের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানুষ সম্মান করে না বরং ঘৃণা করে। সেই জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখতে শক্তির ব্যবহার করে। এতে করে তারা জনপ্রতিনিধিদের শত্রু হয়ে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। জাতীয় পার্টিসহ সব দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছে। আমরা সরকারের অধীনেও নির্বাচন চাই না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেও নির্বাচন চাই না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা নতুন পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই। এ ফর্মুলা আমাদের কাছে আছে। এদিকে সরকার ভয়-ভীতির মাধ্যমে জোর করে নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।  বিগত সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সুযোগ পেলেই জাতীয় পার্টিকে বিভক্তির চেষ্টা করেছে। জাতীয় পার্টিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি, অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছিল। রাস্তায় নেতাকর্মীরা নামলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এমন দমন-পীড়নের মধ্যেও জাতীয় পার্টি এখন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।