| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘জেলেদের নিরাপত্তাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা সরকারকে দেখতে হবে’


‘জেলেদের নিরাপত্তাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা সরকারকে দেখতে হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     17 May, 2023     07:45 PM    


বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সভাপতি সুলতানা কামাল বলেছেন, আজকে জেলেরা যেসব অনুযোগ-অভিযোগ জানিয়েছে আমরা কেন তাদের সেই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক তথ্য দিতে পারছি না, এটা আমাদের ব্যর্থতা। একজন জেলের সংসার কি অনুদানের ৪০ কেজি চালে চলে কিনা সেটাও অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, তাদেরকে ভাতার যে কার্ড দেওয়া হয় সেখানেও অনিয়ম এবং অপ্রতুলতার কারণে অধিকাংশ জেলেরাই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের উচিত অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জনসাধারণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং বিকাশে আরও যত্নবান হওয়া। আমাদের জেলে সমাজকে বাঁচাতে হবে। তাদের নিরাপত্তাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা সরকারকে দেখতে হবে। তাদের প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে। আমরা যারা ভোক্তা, প্রায় প্রতিদিন ইলিশ খেতাম, তাহলে এখন কেন সে ইলিশ পাচ্ছি না। অথচ বলা হচ্ছে টন টন ইলিশ ধরা পড়ছে তাহলে সেগুলো কোথায় যাচ্ছে। বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে তাহলে সে উন্নয়নের সুফল আমরা সবাই কেন পাচ্ছি না। সরকার অনেক ভালো কাজ করছেন তবে সামাজিকভাবে এখনও উন্নয়ন সেভাবে হয় নাই।

আজ (১৭ মে) বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উপকূলের ইলিশ ও জেলে বিষয়ক একটি জাতীয় সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাপার সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবু, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, মৎস্য অধিদফতরের ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি, মৎস্য গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আজহার। সংলাপে উপকূলের ইলিশ ও জেলেদের ব্যাপারে ধারণা বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও সংলাপে আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পরিবেশবিদ, সরকারি ও বেসরকারি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

মহেশখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বরগুনা, মোংলা ও পাইকগাছা থেকে আগত সংলাপে অংশগ্রহণকারী মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে ইলিশ মাছ ধরার উপরে যে অবরোধ আরোপ করা হয় তা যেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবরোধ সময়সীমার সাথে সামঞ্জস্য করে দেওয়া হয়। এছাড়াও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মালবাহী জাহাজের কারণে তাদের মাছ ধরার জাল প্রতিনিয়ত কেটে যায়, জাহাজের বর্জ্য, পোড়া তেল জলাশয়ের পানিতে পতিত হয়ে এবং কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দূষণ উৎপাদনকারী শিল্প কারখানার বর্জ্য মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করছে। মাঝসমুদ্রে ডাকাতি ও জলদস্যুদের আক্রমণ এবং মাছ না পাওয়ায় মহাজনের দাদনের টাকা ফেরত না দিতে পেরে বহু জেলে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে।