| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে’


‘ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     16 May, 2023     12:06 PM    


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। যেকোন বিল্ডিং বা অবকাঠামো তৈরি করার সময় ভূমিকম্প সহনীয় ও জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে নির্মাণ করা জরুরি। রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজ চালানোর মতো অবকাঠামো ও সুযোগ নেই। সেখানে প্রশস্ত রাস্তা ও উন্মুক্ত স্থান ছিল যেখানে মানুষ ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিল ফলে মানুষের প্রাণহানি কম হয়েছে। ঢাকায় সে বাস্তবতা কতটুকু রয়েছে তা জনগণের সামনে প্রতিনিয়ত উপস্থাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যম সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে পারে। পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণের দায় আমাদের সবার রয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ ব্যতীত কোন স্থাপনা তৈরি হতে না পারে সেজন্য যে প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপনা তদারকির দায়িত্বে রয়েছে তাদের আরো শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে।

সোমবার (১৫ মে)  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকা, গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা।সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমদ খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল মিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এবং বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

সমবায়মন্ত্রী বলেছেন, বেশি লাভের আশায় অনেক প্রতিষ্ঠান রাজউক অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করে না। নির্মাণকালীন কাজ তদারকির জন্য রাজউক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করতে পারে। সব নিয়ম যথাযথ পালন হয়েছিল কি না সেজন্য দায়ী থাকবে এ কর্তৃপক্ষ, তদারকি সাপেক্ষে তারা সনদ দেবে। আমাদের দেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল, কিন্তু তার ইফেক্ট যেন না আসে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য ভবন নির্মাণে প্রপার ডিজাইন করতে হবে। আবার সে ডিজাইন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেটাও রেগুলেট করতে হবে। আমাদের এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কাকে দায়ী করা হবে সেটা ফিক্সড করা যায় না। যেমন রানা প্লাজা যখন ভাঙলো, তখন তার মালিককে গ্রেপ্তার করা হলো, কিন্তু সেই ভবনের কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে ধরা হয়নি কেন? রাজউকের কাছে কেউ ডিজাইন নিয়ে গেলে সেটা অ্যাপ্রুভ করা হয়। মালিক চাইলে বিল্ডিং বানাতেই পারেন। কিন্তু আমার মতামত থাকবে, যে ভবন বানাবেন তিনি যেন সার্টিফাইড হন। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তাকে দায়ী করা যায়।প্রত্যেকটা ভূমিকম্পেরই ইফেক্ট অ্যান্ড পোস্ট ইফেক্ট আছে। সেজন্য প্রতিকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আমরা প্রতিবারই ভূমিকম্প প্রতিরোধী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার কথা বলি। কিন্তু ১২০ জন মানুষের জন্য যদি প্ল্যান করা হয়, সেখানে মানুষ থাকে তার চাইতেও অনেক বেশি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার করা যায় না, প্লানের তুলনায় রাস্তা হয় অনেক সরু এবং ছোট।