| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি শ্রমজীবী মানুষেরা আজ সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত : ফখরুল


শ্রমজীবী মানুষেরা আজ সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত : ফখরুল


রহমত নিউজ ডেস্ক     01 May, 2023     10:23 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সভ্যতার প্রধান কারিগর শ্রমজীবী মানুষেরা বাংলাদেশে আজ সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত, তারা সবচেয়ে বেশি শোষিত। তারা দুইবেলা ঠিকমতো খেতে পায় না। কারণ চাল, ডাল ও লবণসহ প্রতিটি জিনিসের দাম যে হারে বেড়েছে, তা তাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।

আজ (১ মে) সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে মহান শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস,  আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু ও আহমেদ আজম খান প্রমুখ।

রাজধানীর বাইরে মানুষ যথাযথভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না দাবি করে  মির্জা ফখরুল বলন, তারা ঢাকায় কিছু বিদ্যুৎ দেয়, যাতে মানুষ রাস্তায় না নামে। ঢাকার বাইরে কোনো বিদ্যুৎ নেই, শুধু লোডশেডিং আর লোডশেডিং। অথচ তারা সবসময় বলছে— বিদ্যুৎ উৎপাদন সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে। এত বাড়িয়েছে যে, তাদের দলের লোকেরা সংসদীয় কমিটিতে বলছে, এত বিদ্যুৎ উৎপাদের প্রয়োজন ছিল না, কারণ এখন তা দিতে পারছে না। বেশি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে তারা চুরি ও দুর্নীতি করেছে। আজকে আবার নতুন খবর এসেছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা এভাবে লুট করেছে। সমস্ত অর্থনীতিতে লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম করেছে।

‘নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের গোলযোগ বরদাস্ত করা হবে না’-পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তাকে উদ্দেশ করে  মির্জা ফখরুল বলেছেন, গোলযোগ কোথায় দেখছেন? গোলযোগ তো আপনারা সৃষ্টি করছেন। আজকে খুলনায় শ্রমিক দলের শান্তিপূর্ণ র‌্যালিতে হামলা করে পণ্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আবার সেই পুরোনো খেলা শুরু হয়েছে। আবার তারা সেই পুরানো কায়দায় আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। ভোটার যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে তারা যেন ক্ষমতায় আসতে পারে এবং আবার যেন ক্ষমতা দখল করতে পারে সেজন্য এখন থেকে হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চায়।