| |
               

মূল পাতা জাতীয় ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী


ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 March, 2023     09:04 PM    


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারকে যুক্তরাজ্য ও জিসিএ কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজন কর্মকান্ডে সহায়তা প্রদান করবে। ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে, যার একটি বড় অংশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (২০২২-২০৪১) অনুমোদন করেছে এবং এর লক্ষ্য বাংলাদেশের সক্ষমতাকে জলবায়ু সহিষ্ণুতার দিকে নিয়ে যাওয়া।

আজ (১২ মার্চ) রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এডাপটেশন অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এক আন্ত:মন্ত্রণালয় গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত "বাংলাদেশ-দ্য ইউনাইটেড কিংডম অ্যাকর্ড অন ক্লাইমেট চেঞ্জ" চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশে অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে সামাজিক, নৈতিক ও অর্থনৈতিক আবশ্যকতা রয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চাভিলাষী অভিযোজন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান (২০২৩-২০৫০) বাংলাদেশে মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং ফ্রেমওয়ার্ক। এটি কার্যকর অভিযোজন কৌশলের মাধ্যমে একটি জলবায়ু-সহিষ্ণু জাতি গঠন করতে সহায়তা করছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইকোসিস্টেম-ভিত্তিক অভিযোজন, উন্নত শাসন, বর্ধিত জলবায়ু অর্থায়ন এবং রূপান্তরকারী ক্ষমতা-নির্মাণ, এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক খাতগুলির বিকাশ করবে।

বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ড. রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ড. প্যাট্রিক ভারকুইজেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সেলিমুল হক এবং জিসিএ’র বিশিষ্ট ফেলো এবং সিভিএফ বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির সাবেক বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক শাখার মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন।