| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিএনপির সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


বিএনপির সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     09 March, 2023     06:48 PM    


ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি দেশে আসবেন, অসুবিধা কী? এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ভারতে কারো সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বিদেশে বাংলাদেশের কেউ জেল খাটলে, সাজা ভোগ করে দেশে ফিরে আসেন। সালাহউদ্দিন আহমেদও আসবেন।

আজ (৯ মার্চ) বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে  ভারত ও কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে জি-২০ মন্ত্রীদের সম্মেলন এবং রাইসিনা ডায়লগে যোগ দিয়েছিলেন ড. মোমেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোমেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই বলে রায় দিয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণে ভারতীয় সরকার যে আপত্তি বা বাধা দিয়ে আসছে তা তারা প্রত্যাহার করে নেবে। আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। ১৫০ গজের মধ্যে যে সমস্ত স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করেছিলাম, ভারত এটাতে বারবার বাধা দেওয়ায় কাজ হচ্ছে না। যেমন ধরেন আমাদের রেললাইন। তারা (ভারত) এগুলোতে তাদের অবজেকশন উইথড্র করেছে। যার ফলে, আমাদের কাজগুলো সুচারু হবে। কয়েক জায়গাতে তারা (আপত্তি) তুলে নেবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের বাধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন, কসবা রেলওয়ে স্টেশন ও সালদা নদী সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে।

আগামী ১৮ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দিয়ে দেশে ডিজেল আসবে। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ভারত আমাদের ডিজেল পাঠাবে। লাইন হয়ে গেছে। ১৮ মার্চ ভার্চুয়ালি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটার উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি পরিশোধিত তেল (ডিজেল) আসবে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর ডিপোতে। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পাইপলাইনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে ২০২০ সালের মার্চে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভারতের লুমানিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে প্রায়ই অসন্তোষ হিসেবে সামনে আসে সীমান্ত হত্যা। ভারতের শীর্ষ পযায় থেকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও প্রায়ই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের দ্বারা বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর আসে গণমাধ্যমে। জি-২০ মন্ত্রীদের সম্মেলন এবং রাইসিনা ডায়লগে যোগ দেওয়ার ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গটি তোলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দিল্লি সফরটা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, যেগুলো ছোটোখাট সমস্যা আছে। আমরা এগুলো আবার তুলেছি। আমি বলেছি, অঙ্গীকারটা রাখেন। আমরা কেউ চাই না, তারাও চায় না একটা লোক মারা যাক। আর অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যখন পাঠাবে (ভারত), হঠাৎ করে সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক সময় মার্কেট ঠিক আগে থেকে জানা যায় না বলে এমন হয়। তারা (ভারত) বলেছে, এ বিষয়টা তারা দেখবে।