| |
               

মূল পাতা জাতীয় যারা মানুষের কথা বলবে, তাদের কথা সরকার শুনবে : আইনমন্ত্রী


যারা মানুষের কথা বলবে, তাদের কথা সরকার শুনবে : আইনমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     06 March, 2023     09:44 PM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত সব সাজেশন সরকার শুনতে চায়। যারা মানুষের কথা বলবে, তাদের কথা সরকার শুনবে। সুশীল সমাজের বক্তব্য বন্ধ করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই। সুশীল সমাজের সুপারিশগুলো সরকার গুরুত্বের সাথে নেবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আবার বসা হবে,সেখানে যে কেউ মতামত দিতে পারবেন।  অনেকেই বলেছেন, এই আইন করে কোনো উপকার হয়নি, আমার মনে হয় কিছু কিছু উপকার হয়েছে। 

আজ (৬ মার্চ) সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএসএইডের  প্রমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস্ প্রকল্পের আওতায় কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল-আইসিএনএল আয়োজিত ‘শেপিং অভ্ থার্ড সেক্টরল’স এন্ড পলিসিস’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন,সব আইনেরই কিছু কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা থাকে। আবার কিছু কিছু বাস্তবায়নের সমস্যা থাকে। যখন বাস্তবায়নে সমস্যা হয়, তখন আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়। ঠিক সে কারণেই বলছি, এই আইন নিয়ে আমরা আবারও বসবো। যদি বিধি পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা সেদিকে যাবো। যদি তার পরেও আমরা দেখি যে, আইনটির সংশোধন করা প্রয়োজন আছে, সেটা করতেও আমরা পিছপা হবো না। কিন্তু সম্পূর্ণ আইনটিকে বাতিল করে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে না। আসুন আমরা আইনটি নিয়ে আবার বসি এবং আইনটির সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের ব্যবস্থা করি। এই বৈঠক রমজানের আগেই হতে পারে। নাগরিক সমাজের যেমন সংবিধানের প্রতি আনুগত্য আছে, তেমনি আমাদেরও আনুগত্য আছে। আমরাও চাই না সংবিধান বিরোধী কোনো আইন হোক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কারও বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এটা তৈরি করা হয়নি। পেনাল কোডে ফিজিক্যালি চুরি করলে কি শাস্তি হয়, সেটা আছে। প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে চুরি আর শুধু ফিজিক্যালি হয় না। ডিজিটাল মাধ্যমেও হয়। ডিজিটাল মাধ্যমে যে অপরাধগুলো হচ্ছিল তা প্রতিরোধের জন্য একটি আইনের প্রয়োজন ছিল। বিশ্বের যেখানেই এই আইনের বিষয়ে কথা হয়েছে, সেখানে কেউ বলেনি, এ আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই।

তিনি আরো বলেন, আইনটি ভেটিং এর জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে এলে অংশীজনদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছিল। এরপর সংসদে স্থায়ী কমিটির সভায় এটকো ও সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানে অংশীজনদের কিছু  পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছিল। দু:খের হলেও সত্য এই আইন করার পর আমরা অনেক মিসইউজ ও অ্যাবিউজ দেখেছি। যখন এই আইনের যথেষ্ট অপব্যবহার হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, তখন তাৎক্ষণিকভাবে আমি নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বসেছিলাম এবং জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেছিলাম। এই বৈঠকে আমরা প্রথমে যে সিদ্ধান্ত  নিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে আইনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক। এরপর আমি জেনেভায় গিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত  হয় যে, পৃথিবীতে এরকম কোন আইন আছে কি না, যদি থেকে থাকে তাহলে তার বেস্ট প্রাকটিসগুলো কি কি? সেটা জানা এবং সেটাকে এই আইনের সাথে যুক্ত করে দুর্বলতাগুলো দূর করার চেষ্টা করা হবে।