| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আমরা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি : জিএম কাদের


আমরা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি : জিএম কাদের


রহমত নিউজ ডেস্ক     24 February, 2023     04:17 PM    


জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। দেশের মানুষ বৈষম্য ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। দীর্ঘকাল দেশের সাধারণ মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জমিদার ও রাজারা সাধারণ মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করেনি। এমন বৈষম্য ছিল সাধারণ মানুষকে জুতা পায়ে হাটতে দেয়নি এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও সাধারণ মানুষকে হাটতে দেয়া হতো না। বিভিন্ন ভাবে মানুষ নিগৃহিত হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পাকিস্তান আমলেও আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছিলাম। ভালো করলেও বাঙালীদের চাকরি দেয়া হতো না, প্রমোশন দেয়া হতো না বাঙালীদের। সেনাবাহিনীতে বাঙালীদের প্রমোশন দেয়া হতো না। সুশাসন ছিলোনা, আইনের শাসন ছিলো না। আমাদের হেয় করে দেখা হতো, অত্যাচার ও নিপিড়নের শিকার হতে হয়েছে আমাদের। দেশের মানুষ বিভিন্ন সময়ে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই মুক্তি সংগ্রাম একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রুপ নিয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীন হয়েছে, একটি ভূখন্ড ও পতাকা পেয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন ও চেতনা কী বাস্তবায়ন হয়েছে? দেশের মানুষ কি বৈষম্য, নির্যাতন ও নিপিড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছে? দেশের মানুষ কাংখিত মুক্তি পায়নি। দেশের মানুষ যে মুক্তির জন্য দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করেছে সেই মুক্তি পায়নি সাধারণ মানুষ। এখনো দুঃশাসন থেকে মুক্তি পায়নি দেশের মানুষ।  

আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানেরর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু জিএম কাদেরের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। হাজারো নেতা-কর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছায় আপ্লুত হয়ে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।  কেক কাটার আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি তাঁর প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী রচিত “BLEEDING RAKHINE ” বইয়ের মোড়ক উন্মোচণ করেন।      

জিএম কাদের বলেন, এখনো দেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা দল করে তাদের অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তাদের দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই, তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের চাঁদাবাজী থেকে ভিক্ষুকও রেহাই পায় না। দেশে আইনের শাসন নেই, দেশের মানুষের ধারণা আইন নিজের গতিতে চলতে পারছে না। ভালো মানুষ সমাজে টিকতে পারছে না। ভালো মানুষেরা সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আবেদন করেছে। সাধারণ মানুষ নিজ দেশকে নিরাপদ মনে করছে না। আইন শৃখলা রক্ষা বাহিনীকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। বৈষম্যহীন ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন হয়নি।

তিনি আরো বলেন, মুক্তি সংগ্রামে বিজয়ের জন্য দেশের মানুষ তাকিয়ে আছেন। জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতি করছে। নিজের একটি দেশ মানে প্রজাতন্ত্র, প্রজারাই দেশের মালিক। দেশের মালিকরাই প্রতিনিধি ঠিক করবেন- যারা দেশ পরিচালনা করবে। আবার সাধারণ মানুষের ইচ্ছেমত দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে তারা আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্র এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। এজন্যই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। আমরা শোষন ও বৈষম্যহীন দেশ গড়েই রাজনীতি করছি। এই রাজনীতি নিয়ে আমরা মাঠে থাকবো। দেশের মানুষের স্বার্থে আপোষের অবকাশ নেই। আমরা কোন দলের জন্য কাজ করছি না। আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করছি। দেশের মানুষ যদি দেখে আমরা তাদের স্বার্থে কাজ করছি, তারা অবশ্যই আমাদের সমর্থন দেবে। দেশের জনগণের ভবিষ্যতের সাথেই আমাদের ভবিষ্যত। দেশ স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ যেন মানসম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত না হয়। জাতীয় পার্টি একত্রিত আছে, ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। সকল পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন তিন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদের এমপি।

ফুলের শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যে জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় মহিলা, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় হকার্স পার্টি, জাতীয় শ্রমিক সিএনজি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফুলের জানান প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম মহাসচিব মো: বেলাল হোসেন, মো: আমির হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো: হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, হুমায়ুন খান, এডভোকেট ইউসুফ আজগর, মাখন সরকার, মাসুদুর রহমান মাসুম, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, এডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলী এডভোকেট সেকেন্দার আলী ছেরনিয়াবাদ, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, হাফেজ ক্বারী আলহাজ্ব ইছারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদা সিকদার, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, রীতা নূর, মো: আসাদুল হক, তাসলিমা আকবর রুনা, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, শাহীনুর বেগম, আলমগীর হোসেন, ড. নাসির উদ্দিন বকুল, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, শরিফুল ইসলাম শরিফ, মো: ওয়াহিদুর রহমান, শারমীন, আব্দুর রহিম, আনোয়ার হোসেন শান্ত, আনোয়ার হোসেন আনু, শামীম আহমেদ রিজভী, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আলাউদ্দিন আহমেদ, মিথিলা রোওয়াজা, শ্রাবণী চাকমা, ইঞ্জিনিয়ার মো: সাইফুর রহমান সরকার, জিয়াউর রহমান বিপুল, সানাউল্লাহ সানু, আবু নাঈম ইকবাল, আফজাল হোসেন, মো: দুলাল, খলিলুর রহমান খলিল, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর সভাপতি আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, মো: শাহাদত হোসেন।