| |
               

মূল পাতা ইসলাম যেভাবে জঘন্যতম অপরাধ শিরকের সূচনা


যেভাবে জঘন্যতম অপরাধ শিরকের সূচনা


মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান     04 February, 2023     05:09 PM    


জঘন্যতম পাপকাজের মধ্যে ক্ষমাহীন এক জঘন্যতম অপরাধ শিরক। শিরকের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করেছে ইসলাম। ইসলাম শুধু শিরককে প্রত্যাখ্যানই করেনি বরং শিরক হয়ে যাওয়ার মাধ্যমকেও ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। যা দ্বারা শিরক হতে পারে সে সকল কাজ থেকে ও বিরত থাকতে ইসলাম কঠোর নির্দেশ প্রদান করেছে। পবিত্র কোরআন শরিফে শিরকের সূচনা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে শিরকের সূচনা হয়েছে হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কওম দ্বারা। হযরত আদম আলাইহিস সালামের ছেলে কাবিল, যে অন্যায়ভাবে নিজ ভাই হাবিলকে হত্যা করেছিল। সেই কাবিলের বংশের সপ্তম পুরুষের কাছ থেকে শিরকের সূচনা হয়ে ছিল।

হজরত নূহ আলাইহিস সালাম যে জাতির নিকট প্রেরিত হয়ে ছিল সে কওম বা জাতির পাঁচজন ব্যক্তি ছিল যাদের নাম কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন ওদ্দা,সুয়া,ইয়াগুস,ইয়াউস ও নাসর।এই পাঁচজন নেককার বান্দাহ ছিলেন।এদের দ্বারা মানুষ হেদায়াতের পথ খুঁজে পেত। নেক কাজে আগ্রহ পেত। তাদের ইন্তেকালের পর  কওমের লোকেরা আফসোস করতে লাগলো এবং বলতে লাগলো আমরা এখন কার কাছে গিয়ে হেদায়াতের কথা শুনবো?  এর মধ্যে শয়তান তাদের অন্তরে এ কথার উদয় করে দিল যে,  ঐ বুযুর্গ ব্যক্তিগণ চলে তো চলে গেছেন। এখন উত্তম পন্থা হল তাদের মুর্তি বানিয়ে এবাদতখানায় রেখে দাও তাতে তোমরা এবাদতে স্বাদ পাবে। কথামতো তারা তাদের বুযুর্গ ব্যক্তিদের মুর্তি বানিয়ে তাদের এবাদতখানায় রেখে দিল।এ কাজে যদি ও তাদের শিরকের উদ্দেশ্য ছিলো না। পর্যায়ক্রমে তাদের  পরবর্তী প্রজন্ম  ও শিরক করেনি কিন্তু তারা এই মুর্তি গুলোকে অন্যান্য বস্তু থেকে পৃথক ভাবে অতি বেশি সম্মান প্রদর্শন করতো। 

তৃতীয় প্রজন্ম এসে ঐ মুর্তিগুলোর পূজা শুরু করে দিল। মুর্তিগুলোর নামে মান্নত করতে শুরু করে দিল।নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য মুর্তিগুলোর নিকট আবেদন নিবেদন করতে শুরু করে দিল। তাদের কাছে সন্তান, রিজিক চাইতে লাগলো। মুর্তিগুলোকে সিজদা করতে লাগলো। মুর্তিগুলোকে তাদের মাবূদ হিসেবে বিশ্বাস করতে লাগলো। এভাবে ই পর্যায়ক্রমে মুর্তি পূজার প্রচলনের মাধ্যমে শিরক এর প্রচলন শুরু হয়ে গেল। আল্লাহতায়ালা বান্দাহর সকল পাপকাজ ক্ষমা করে দিলে ও শিরক এর মতো জঘন্যতম পাপ ক্ষমা করবেনা বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। আজ আমাদের সমাজে নানাধরনের শিরক কাজের প্রচলন আছে। যা আমরা জেনে না জেনে, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, হাসি তামাশায় করে ফেলছি। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে শিরক এর মতো জঘন্যতম পাপকাজ থেকে হেফাজত করুণ,  আমিন।

লেখক : নাজিমে দারুল ইকামাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া