| |
               

মূল পাতা জাতীয় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল লাইন প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে : সেতুমন্ত্রী


চট্টগ্রামে মেট্রোরেল লাইন প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে : সেতুমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     29 December, 2022     03:59 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় আরো ৬টি মেট্রোরেলের লাইন প্রতিষ্ঠার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।  আজ (২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা চট্টগ্রামে আরো দুটি সার্ভিস লেন হবে। চলমান সংকটকালে আমরা বড় প্রকল্পের কাজ হাতে নিতে পারবো না। মেট্রোরেলের প্রকল্প ছিল অনেক আগের নেওয়া। আগামী বছর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অর্ধেকটা ওপেন করতে পারবো। বাংলাদেশের মেট্রোরেল থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলকাতার মেট্রোরেলের চেয়েও অনেক আধুনিক । মেট্রোরেল চলাচলের সময় কোনো ধরনের শব্দ-দূষণ হবে না। এ সরকারের আমলেই মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চালু করা হবে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করা যায় কি না- সেটির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে দেখা হবে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছরের মধ্যে চালু করা হবে। আমি একটি কথাই বলবো- মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।  এখন রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা। ঢাকা ও কলকাতার মেট্রোরেল এক না। আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেলের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। এ সরকারের মেয়াদেই মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। বর্তমানে নানা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেয়াই হচ্ছে এ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সুন্দর করতে বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নে সারা দেশেই নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে। আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো? আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। বিএনপি’র পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে। ১০ তারিখের মতো আমরা সারাদেশে সতর্ক পাহারায় থাকবো। ওইদিন যেমন ছিলাম একই অবস্থানে থাকবো। নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ পিছিয়ে রয়েছে। আমরাও কোনো হস্তক্ষেপ করি নাই। তবে কেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছেন- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতারা কাজ করেননি- এমন প্রমাণ পেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইভিএম সব নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকবে কিনা- সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। আওয়ামী লীগের দাবি, সব কেন্দ্রে ইভিএমে নির্বাচন হোক। তবে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট হলেও আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই, না হলেও সমস্যা নেই।