| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি আ’লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না : খন্দকার মোশাররফ


আ’লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না : খন্দকার মোশাররফ


রহমত নিউজ ডেস্ক     28 December, 2022     07:42 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও চাপাবাজি করে ক্ষমতায় টিকে আছে।

আজ (২৮ ডিসেম্বর) বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এস এম শাহাদাত, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকি, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মণ্ডল প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে সরকার ভয় পেয়ে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। এর আগে আমাদের ৯টি বিভাগের গণসমাবেশ নিয়ে তারা যা করেছে, তা নজিরবিহীন। ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে অনেক টালবাহানা করেছে। পরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কী নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে! এটা স্বাধীন বাংলাদেশে কল্পনাও করা যায় না। তারা পরে আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সরকার আমাদের গণসমাবেশে জনতার ঢল থামাতে পারেনি। এসব সমাবেশে জনগণ অংশগ্রহণ করে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা আর আওয়ামী লীগের সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সবার সঙ্গে আলোচনা করে অবিলম্বে এই ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এসব দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের কর্মসূচি চলছে। এসব কর্মসূচিতেও সরকার বাধা দিচ্ছে। গত ২৪ ডিসেম্বর প্রথম গণমিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে পঞ্চগড়ে আমাদের একজন নেতাকে হত্যা করেছে। গত ১৫ দিনে বিশেষ অভিযানের নামে সারাদেশে বিরোধীদলের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। জনগণের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দলের (সরকারি) লোকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে ফেলেছে। শুধু একদলীয় বিচার। আওয়ামী লীগের লোকজন বিচার পায়। আসলে এখান থেকে উত্তরণে সরকার হটানোর কোনো বিকল্প নেই। আজকে জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ উসকানি দিচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা সংঘর্ষ-সংঘাতে বিশ্বাস করি না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সব রাজনৈতিক শক্তির সমন্বয় করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছি।