দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার নেই : মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হবার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার নামে আজকে সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সনদ ভুয়া প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারো কারো অবৈধ আবদার পূরণ না করার কারণে এখনো স্বীকৃতি বঞ্চিত। দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার নেই।  ৭০ এর নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধ হবার মূল কারণ। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ হবার হবার পরেও তাদেরকে ক্ষমতায় না বসানোর কারণে ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।৭০ এর নির্বাচনে ইশতেহার ছিল কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ করা হবে না। এই ইশতেহার দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়ে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন মেনে নেওয়া যায় না। ৭১ এর পূর্বে প্রত্যেক পোষ্টারে লেখা ছিল নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার।

আজ (১৮ ডিসেম্বর) রবিবার  বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মাওলা, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ।

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলাম কুষ্টিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দু মোত্তালিব খান গাজিপুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোলায়মান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টাঙ্গাইল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী দবির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক, মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম মুফতী মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সাহাদুজ্জামান মোল্লা, এবিএম রকিবুল হক, মোঃ আবদুল কুদ্দুস,  মোঃ মিজানুর রহমান, আবুর শোয়াইব খান ও ডা. আতাউর রহমান চৌধুরী।