| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি সরকার কূটনীতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে চায় : বিএনপি


সরকার কূটনীতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে চায় : বিএনপি


রহমত নিউজ     16 December, 2022     08:50 AM    


সরকার কূটনীতিকদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে ‘অবৈধ’ ক্ষমতাকে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষকে তারা যেভাবে ভয়-ভীতির মাধ্যমে চেপে রাখতে চাচ্ছে, এখন কূটনীতিকদের মধ্যেও ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে, ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে এই অবৈধ, দখলদার সরকার অব্যাহতভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। এটাই এখন প্রমাণিত। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, একজন কূটনীতিবিদ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে গেছেন। সেখানে যাওয়ার পর সরকারি দলের মদদে ও সহযোগিতায় কিছু লোক (মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠন) একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়াটাই তো আইনবিরোধী। যে কোনো ব্যক্তির অনুষ্ঠান করার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আরেকটা অনুষ্ঠানে গিয়ে সেটাকে অনেকটা বাধাগ্রস্ত করার যে প্রক্রিয়া সেটা অগণতান্ত্রিক। দেশের মানুষের সঙ্গে বিদেশি, কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় একটি দেশে, সেই দেশে সত্যিকারের চরিত্র কি সরকারের এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটছে। সরকারের মদদ ও সহযোগিতা যে এই ঘটনা ঘটেছে। এটা সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তায় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের একটি ঘটনাকে তারা পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক। সেখানে একটা ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হোক।

তিনি বলেন, এ রকম ঘটনা আমরা আগেও দেখেছি। সরকারি দলের মদদে এবং সরকারের মদদে কিছু লোক আগেও আমেরিকার একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট একটি নৈশভোজে গিয়েছিলেন, সেখানে ভাঙচুর করেছে। এর আগে গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির একটি মানবাধিকার অনুষ্ঠানে সেখানে তারা একই লোক (মায়ের কান্না) সেখানে বাইরে উপস্থিত হয়ে সেটা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। এই যে একটি অনুষ্ঠান হলো, সেখানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা সরকারি মদদে, এটা তো আওয়ামী লীগের চরিত্রে পরিণত হয়েছে।  এতোদিন ছিল বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা, এখন দেখা যাচ্ছে কূটনৈতিকদের নিরাপত্তাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাদের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য আছে, বহুবিধ গভীর সুসম্পর্ক আছে। কূটনৈতিকদের নিরাপত্তাহীনতার যে প্রতিফলন, এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার বলছে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে বলা হয়নি, এটার অর্থ হচ্ছে সরকারকে না বলে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। এটা কোথায় আছে। আর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তো পুলিশ আছে। সরকার অবগত আছে। আর যদি বলাও না হয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে না বলে কোথাও গলে সেই মানুষগুলো নিরাপত্তা পাবে না এটা হতে পারে নাকি? তাদের বলে গেলে আপনি নিরাপত্তা পাবেন, না বলে গেলে নিরাপত্তা পাবেন না, এটা কি একটা দেশের নিরাপত্তার চরিত্র তার ব্যত্যয় ঘটছে না। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে, তার গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় পরবর্তী সময়ে ফলোআপ হয়নি। তারও কোনও বিচার হয়নি।