| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে পেটালেন পুলিশ


দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে পেটালেন পুলিশ


রহমত নিউজ     09 December, 2022     10:12 AM    


মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় মারপিটে যোগ দেন পুলিশের আরও দুই সোর্স। ইতোমধ্যে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় পদ্মা নদী পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। ইতোমধ্যে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন, মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ। তাদের বাড়ি হরিরামপুর উপজেলায়।

আহত শিক্ষার্থী ফয়সাল জানান, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা দুজন পদ্মার পাড়ে একটি নৌকায় বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ওসির বাসার কাজের লোক মাসুদ ও কনস্টেবল জব্বার উদ্দিন তাদের কাছে গাঁজা আছে বলে দেহ তল্লাশি করে। এ সময় কিছু না পেয়ে আবারও তল্লাশি করতে চান। এর প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা আবারও পদ্মা পাড়ে গেলে হরিরামপুর থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত মামুন ও মাসুদ তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন বারবার কেন হয়রানি করছেন জানতে চাইলে তারা দুজন উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থী নিজাম ও ফয়সালকে লাথি মারাসহ বাঁশ দিয়ে মারপিট শুরু করে। এ সময় একটু দূরেই দাঁড়িয়েছিলেন কনস্টেবল জব্বার উদ্দিন ও লতিফ। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন তারাও।

এদিকে একপর্যায়ে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদের রেখে পুলিশ ও থানার সোর্সরা চলে যান। পরে আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এর মধ্যে নিজামের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

হরিরামপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, পুলিশের সোর্স মাসুদ গাঁজা দিয়ে দুজন ভালো ছেলেকে ফাঁসাতে না পেরে ব্যাপক মারধর করেছে। মাসুদ থানার বাজারসহ ওসি সাহেবের ব্যক্তিগত কাজকর্ম করে। এ কারণেই সে ক্ষমতার দাপট দেখায়। নিজেকেও পুলিশভাবে। মামুনও পুলিশের সোর্স। তার বিরুদ্ধেও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ আছে। কনস্টেবল জব্বার উদ্দিন ও লতিফ তাদের কথামতো দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করেছেন।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, পুলিশ দুজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি এসপিকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হরিরামপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে মোবাইলে ফোন করা হলেও কল রিসিভ করেননি তিনি।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, এ ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -আরটিভি।