জীবনের যেকোনো পর্যায়ে সাফল্য আসতে পারে : আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি। সে স্বপ্ন পূরণে কৃতি শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। জীবনের যে কোনো পর্যায়ে সাফল্য আসতে পারে। আমরা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না, আমরা সফল হতে চাই। আমরা অন্যের কাছে অনুপ্রেরণা হব, যাতে অন্যরা আমাদের দেখে শিখতে পারে।

আজ (৩ ডিসেম্বর) শনিবার সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশে কর্মরতদের কৃতি সন্তানদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে প্রধান অতিথি মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন। অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান বিপিএম (বার)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এআইজি (এডুকেশন, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচার) মো. সোহেল রানা। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডিশনাল ডিআইজি শাহীনা আমীন এবং ডিএমপির এডিসি এ বি এম জাকির হোসেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী সন্তানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী মো. আবুল হাসনাত ও নাজিয়া মুমতাহিনা এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের অধিকারী মল্লিক ফাইজ ইসলাম মিহান ও ফারজানা হক প্রমি।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, নিজের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে দেশের বাইরে থাকলেও দেশের জন্য নিবেদিত হয়ে দায়িত্ব পালন করা যায়। দেশ যদি উন্নত হয়, সমৃদ্ধ হয় তাহলে তোমাদের সাফল্য, মা-বাবার কষ্টও সফল হবে। তোমরা ভালো রেজাল্ট করে মা-বাবার মুখ যেমন উজ্জ্বল করেছ, তেমনি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও তোমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। তোমাদের জ্ঞান শুধু পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হবে। ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল দিয়ে অনেক কিছু জানার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা ডিজিটাল ডিভাইস অবশ্যই ব্যবহার করব। কিন্তু এর মধ্যে হারিয়ে যাবো না।

তিনি আরো বলেন, জীবনে ব্যর্থতা আসতে পারে। সব কাজে সফলতা আসবে এমন নয়। এজন্য দমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সবার মাঝে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। নিজেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, জীবনের যে কোনো পর্যায়ে সাফল্য আসতে পারে। আমরা ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না, আমরা সফল হতে চাই। আমরা অন্যের কাছে অনুপ্রেরণা হব, যাতে অন্যরা আমাদের দেখে শিখতে পারে।করোনাকালে যখন মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নিজের বেঁচে থাকার জন্য মা-বাবাকেও সন্তানকে ছেড়ে চলে যেতে আমরা দেখেছি। সন্তান অনেক সময় মা-বাবাকে ছেড়ে চলে যায়, তাদের পরিত্যাগ করে। তবে মা-বাবা সন্তানকে ছেড়ে চলে যায়, এ রকম আমরা দেখি না। এ অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ পুলিশ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের সেবা দিয়েছে, মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়েছে, দাফন-কাফন করেছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে পুলিশ মানুষের ভালোবাসার অর্জন করেছে, আস্থা অর্জন করেছে।