| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলবে’


‘মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলবে’


রহমত নিউজ     20 October, 2022     08:28 PM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য তারা ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যকার স্বাক্ষরিত পূর্ববর্তী সকল চুক্তি মেনে চলবে। মিয়ানমার সামরিক কর্তৃপক্ষ বেইজিংকে জানিয়েছে যে সত্যতা যাচাই করার পর, তারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণ জানানো হয়নি।  চীন আশ্বস্ত করেছে, বেইজিং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবে। আজকের আলোচনা শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ ছিল। 

আজ (২০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সাথে তার বৈঠকের ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ আলোচনা হয়।  ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাও তাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনপরিস্থিতি সহজ করতে ভূমিকা রাখছে, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। আমরা এই সংকট নিরসনে তাদের বারংবার অনুরোধ করে যাচ্ছি। ঢাকা এই সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে চীনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। চীন একটি ত্রিপাক্ষিক পদ্ধতির আওতায় রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত জিমিং জানিয়েছিলেন যে মিয়ানমার পক্ষের সাথে তাদের আলাপের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা ইস্যুর দ্রুত ও টেকসই সমাধান চায়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব সময়ই আশাবাদী। জিরো পয়েন্টে’ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ভূমিকা রাখার আহ্বানটি বেইজিংকে পৌঁছে দিতে চীনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়ে আসছে এবং এদের অধিকাংশই মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানের পর, প্রাণ বাঁচাতে এদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওই দমনঅভিযানকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। যদিও মিয়ানমার এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত এইসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।