| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে ৩ বছরের জেলের বিধান চায় ইসি


ভোটের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিলে ৩ বছরের জেলের বিধান চায় ইসি


রহমত ডেস্ক     11 September, 2022     04:26 PM    


নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা কিছু কিছু আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের চোখ, কান এবং আমাদের বদলে আপনারা হাজির থেকে সঠিকভাবে কাভার করেন। আপনাদের নিরাত্তার কথা চিন্তা করে আমরা কিন্তু আইনে নতুন একটা বিধান সংযোজন করেছি। সেটা হচ্ছে কেউ যদি আপনাদের বাধা দেয়, যদি আপনাদের অ্যাসল্ট করে, যদি আপনাদের ইকুইপমেন্ট এবং সঙ্গী-সাথী যারা আছেন, তাদের যদি কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং ন্যূনতম এক বছর জেলে বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও জরিমানার বিধান রয়েছে।  আপনাদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যোকটা অনিয়ম ধরা পড়ে, এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমার (ইসির) ভুলগুলো আপনাদের চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপানারা আমার ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে দেন, আমি নিজেকে শুধরে নেব। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি। আজ (১১ সেপ্টেম্বর) রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোরপূর্বক একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়া ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।

তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও কারিগরি সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে। বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। তবে, ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাকেই সিসি ক্যামেরার মধ্যে আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনিয়তা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এখন প্রয়োজন। আস্থা, বিশ্বাস হচ্ছে নিজস্ব ব্যাপার। আমার নিজের ওপর বিশ্বাস আছে। কিন্তু আপনার কি আছে? আস্থা ফেরানোর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আমরা করব। আমাদের নিজেদের ওপর শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে।