‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কখনও দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে ছিল না’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরের একটি বড় অর্জন।  এই সমঝোতা স্মারকের বিনিময়ে ভারতকে কিছু দিতে হয়নি বাংলাদেশের। দুই দেশের সম্পর্ক কখনও দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে ছিল না।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে প্রানমন্ত্রীর ভারত সফরের দুই দিনের কর্মকন্ড নিয়ে বাংলাদেশ হাই-কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, পানি প্রত্যাহারের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ৫ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আসবে। শুষ্ক মৌসুমে এসব জমি পানি সংকটে ছিল। বাংলাদেশ মনে করে ভারত অবশ্যই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তবে এতে সময় লাগতে পারে।  কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর হওয়ার ফলে একটি গতির সঞ্চার হয়েছে। তিস্তা পানি ইস্যু সমাধানে আমরা এটিকে ধরে রাখব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত। দিল্লির রাস্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের বন্ধুত্বের পোস্টার এবং সফর নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাভারেজে এটি দৃশ্যমান।

তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন। এই বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের বিষয়ে তিনি মোদির সহযোগিতা চেয়েছেন। ভারত জানিয়েছে তারা এই বিষয়ে কাজ করছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারত বিষয়টিতে নজর রাখছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেছে এবং একে অপরের সহযোগিতা চেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং পানি বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।