| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতে সালিশ নিষ্পত্তি করতে হবে


১৫ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতে সালিশ নিষ্পত্তি করতে হবে


রহমত ডেস্ক     25 July, 2022     06:13 PM    


গ্রাম আদালতে সালিস নিষ্পত্তির সময়সীমা ১ মাস থেকে কমিয়ে ১৫ দিন নির্ধারণ করে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ (২৫ জুলাই) সোমবার  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটিকে একটু রিভিশন করা হয়েছে। যেমন নাবালকের পরিবর্তে শিশু কথাটি লেখা হয়েছে। আগে শুধু নাবালক বলা হতো, এখন বলা হচ্ছে শিশু। শিশুর যে ডেফিনেশন আছে শিশু আইনে, সে অনুযায়ী শিশুকে ডেসস্ক্রাইব করতে হবে। ২০১৩ সালে যখন আইনটি করা হয় তখন নিষ্পত্তির সীমা ছিল ৩০ দিন। এখন তা কমিয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে একটি বিষয় ছিল যে, ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। এখন এটা ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ৫ জন সদস্য থাকবেন। একজন চেয়ারম্যান, দুই পক্ষ থেকে দুই জন করে। নারী যদি থাকে, একজন থাকবেন। বিশেষ করে যদি নারী অভিযোগকারী থাকে।

ভুক্তভোগীকে প্রশ্ন বা জেরা করতে আদালতের অনুমতির বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনা হয়েছে। যিনি ভিকটিম (ভুক্তভোগী) থাকবেন তার চরিত্রের বিষয়ে অনেক সময় অপজিট থেকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করার একটা ট্যান্ডেন্সি থাকে। তা রেস্ট্রিকটেড করে দেওয়া হয়েছে। কারো চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে খারাপ লোকজনও থাকতে পারে, ভালো একজনকে ট্র্যাপে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করবেন কারো চারিত্রিক বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে কি না।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল কোর্টকে রিককগনাইজ করা হয়েছে বিধায় কিছু সংশোধনী আনার প্রয়োজন বোধ হয়েছে, যাতে ডিজিটাল কোর্ট, ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ, এভিডেন্ট অ্যাক্টে এটা ছিল না। আইটির ক্ষেত্রে ইনফরমেশন বা ডাটা ব্যবহার করা হবে। আগে শুধু ইনফরমেশন ইনক্লুড করা ছিল। যেসব ইনফরমেশন আসবে, সেগুলো সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে যে ডাটাকেও (সাক্ষ্য হিসেবে) নিতে হবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইনক্লুড করা হয়েছে। ডিজিটাল রেকর্ডকে কনসিডার করা হবে। এটা আগে ছিল না।