রহমত ডেস্ক 18 July, 2022 08:56 PM
নড়াইলে হিন্দু যুবক আকাশ সাহার ইসলাম অবমাননা ও সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা একই সূত্রে গাঁথা বলে দাবি করেছে দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ (১৮ জুলাই) সোমবার এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, নড়াইলে হিন্দু যুবক আকাশ শাহা মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করার পর এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানায় সাধারণ মানুষ। সেই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয় জুমার নামাজের পর। কিন্তু পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারীরা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, এটা স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড। ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বিষয় এখানে দুইটা। একটা আকাশ শাহার ইসলাম অবমাননা এবং অন্যটা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর। তবে দুইটা ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা। আমরা মনে করি যারা আকাশ শাহাকে দিয়ে ইসলাম অবমাননা করিয়েছে, তারাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ইন্দন যুগিয়েছে। আকাশ শাহাকে যেমন কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তেমনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সম্মুখীন করতে হবে।
হেফাজত নেতাদ্বয় বলেন, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এসব ঘটনার পিছনের শক্তিকে খুঁজে বের করা। আমরা বিগত কয়েক বছর যাবত লক্ষ্য করছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মুষ্টিমেয় কিছু লোক বারবার ইসলাম ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করছে এবং এরপর একটা গোষ্ঠী নিরাপরাধ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যেনে-বুঝে কেন কটূক্তি করা হচ্ছে এবং হামলার পিছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে, তা সবসময় আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি এসব কাজ ইসলাম ও দেশ বিরোধী শক্তির দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে। তারা ইসলাম অবমাননা করে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেপীয়ে তুলছে, এবং এই সুযোগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন করতে হবে। যাতে কেউ ইসলাম অবমাননার সুযোগ না পায় এবং এটিকে কেন্দ্র করে নিজেদের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের হামলা করতে না পারে।