টানা ৩৭তম দিনে অনশনে এনটিআরসিএ সদনধারীরা

বেরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসি সনদধারীরা প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ৩৭তম দিনের মতো গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। ‘সনদ যার, চাকরি তার’ স্লোগান নিয়ে গত ৫ জুন থেকে তারা শাহবাগ জাতীয় গণ গ্রন্থাগার অধিদফতরের সামনে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। অনশনকারীদের দাবি, প্যানেল ভিত্তিতে প্রথম নিবন্ধনধারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রমান্বয়ে সকলকে নিয়োগ দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই দাবিনামা ও স্মারকলিপি শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও উপ-সচিবকে দেওয়া হয়েছে।

আজ (১১জুলাই) সোমবার ৩৭তম দিনের মতো গণ অনশন কর্মসূচি চলছে সনদধারীদের। ঈদুল আজহার দিনেও তারা এখানেই কর্মসূচি পালন করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাদের গণ অনশন কর্মসূচি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন এসকল সদনধারীরা।যাদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে তারা ফকিরাপুল এলাকায় কম খরচে কিছু হোটেলে থাকেন। কেউ কেউ রেললাইনে রাত কাটান। কেউবা আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকেন।

প্যানেল প্রত্যাশী শিক্ষক সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সরাসরি কথা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। যাদের বয়স ৩৫ এর বেশি দোষ তো তাদের না। এনটিআরসি নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা তাদের দায়। আমরা চাই প্রথম নিবন্ধনধারীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রমান্বয়ে সকলকে নিয়োগ দেয়া হোক। প্রথম নিবন্ধনধারীকে আগে দেওয়া হোক। কারণ সে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। সনদধারী আছে ৪০ হাজারের মতো কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে ৪ লাখ। কারণ হচ্ছে কারও কারও চার থেকে পাঁচটি সনদ আছে। তারা চার-পাঁচটি করে আবেদন করে। যার ফলে আবেদন কয়েক লক্ষ হয়ে যায়। নিয়ম করা হোক একজন একটার বেশি আবেদন করতে পারবে না। যে স্কুলে আবেদন করবে, সে কলেজে আবেদন করতে পারবে না। যে কলেজে আবেদন করবে সে স্কুলে আবেদন করতে পারবে না। এক আবেদনেই চাকরি নিশ্চিত করা হোক। আমরা আজ ৩৭ দিন পরিবার পরিজন ছেড়ে এখানে আছি। আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হ্যাঁ বা না শুনতে চাই। তিনি যৌক্তিক যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাব।