‘কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসিতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরভবনে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসিতে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সবাই বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবে এবং তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয় হবে। কন্ট্রোলরুমের ৩টি ফোন নম্বরঃ ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩। জনসাধারণকে কন্ট্রোল রুমের নম্বরে ফোন করে বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানানোর আহ্ববান জানান তিনি।

আজ (৯ জুলাই) শনিবার দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। পশুর হাট পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঈদে বিপুল পরিমান বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ (বার) ঘন্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী কাজ করবে। ৬০০ যানবাহন, পচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমান ব্লিচিং পাওডার ও স্যাভলন রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে। ডিএনসিসিতে দশটি পশুর হাটেই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সবাইকে মাস্ক পরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার এটি মানতে হবে সবাইকে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে ১০০(একশত) জন করে মোট ১০০০ (এক হাজার) স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ৬টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোন চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘন্টা লেনদেন করা যাবে। সাথে সাথে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন করতে হবে না।

তিনি আরো বলেন, হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পশুর চিকিৎসা প্রদান ও ঔষুধ সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ইজারাদারকে তাদের দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। পশুর হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মশার সংখ্য বেড়ে গেছে। হাট চলাকালীন মশার ঔষুধ ছিটানো যাচ্ছে না কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এই এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে।