| |
               

মূল পাতা জাতীয় শর্তসাপেক্ষে ঈদে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার দাবি


শর্তসাপেক্ষে ঈদে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার দাবি


রহমত ডেস্ক     06 July, 2022     06:13 AM    


আসন্ন ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলে রাইডশেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্তকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে চলাচলকারীদের যাত্রাপথে হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে ঈদযাত্রায় গতি কমানোসহ কয়েকটি শর্তে এ বাহনটি মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাইডশেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক সংখ্যা বা ডাটাবেজ বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইডশেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল, কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল তা আলাদা করার সুযোগ নেই। চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং করার দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এ ধরনের তল্লাশি পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই উৎসমূলে যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা বজায় রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র তল্লাশি করা, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোনো বাইকার যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ্য করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনটির স্পিড লিমিট করে দেওয়া, লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি এই বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের স্পিড লিমিট নির্ধারণ করে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে ঈদের আগে মোটরসাইকেল চালুর দাবিও জানানো হচ্ছে