| |
               

মূল পাতা জাতীয় উইঘুরদের গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে চীনের বিচার দাবি


উইঘুরদের গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে চীনের বিচার দাবি


রহমত ডেস্ক     05 July, 2022     10:09 PM    


চীনের জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে মুসলিম উইঘুরদের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম।

আজ (৫ জুলাই) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মুসলিম মডার্ন একাডেমির সিনিয়র ধর্মীয় শিক্ষক ফজলে রাব্বি ফরহাদ, চেয়ারম্যান সুফিবাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশন শায়েখ মুহিউদ্দীন খান ফারুকী, সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সমীরণ রায়, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ফোরামের সমন্বয়ক রাহাত হুসাইন, শেখ জনি ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আতাউর রহমান মিয়াজী বলেন, ২০০৯- সালের আজকের এ দিনে সারা বিশ্বে উইঘুর মুসলমানদের উরুমকি দাঙ্গা ও গণহত্যার বার্ষিকী পালন করছে। চীন সরকার প্রায় ১.৫ মিলিয়ন লোককে আটক করে সংশোধনের নামে নির্যাতন নিপীড়ন করছে। চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমকে সোচ্চার হতে হবে। উরুমকিতে মুসলিম গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে চীন সরকারের বিচার করতে হবে।

ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, চীন সরকার উইঘুরে মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধ্বংসে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কোনো পুরনো মসজিদ সংস্কার করতে না দেওয়া। নতুন মসজিদ নির্মাণের অনুমোদন না দেওয়া। বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে সংস্কার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই কেবল পুরনো মসজিদ সংস্কারের অনুমোদন মেলে। মুসলিমদের পবিত্র হজকে পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মসজিদে মুসলিমদের জুমার নামাজ আদায় নিয়মিত বাধা প্রদান করা হচ্ছে। উরুমকির উইঘুর মুসলিমদের ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে চীন সরকার নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মুসলিম যুবকদের বৌদ্ধ মেয়েদের বিয়ে করতে অর্থের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। মুসলিম গর্ভবতী নারীদের অবৈধভাবে গর্ভপাত করানো হচ্ছে।  আবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছেলেদের কাছে মুসলিম মেয়েদের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১৮ বছরের নিচে, শিশু-কিশোরদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। জিনজিয়াংয়ে মুসলমানদের তুর্কি ভাষা ও আরবি বর্ণমালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জিনজিয়াংয়ের ৫০টির মতো পুরনো মসজিদ সিলগালা করে দিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, যেখানে সংখ্যা গুরু রয়েছে তারা সংখ্যালঘুকে হামলা করে অত্যাচার চলছে। ফিলিস্তিনের পরে চীনের মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। তাদের মধ্যে উপযুক্ত নেতৃত্ব নেই বলে এই অবস্থা। চীনের শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের নিধন করতে চায়। চীনে সাড়ে তিন কোটি মুসলমান, চীনের মুসলমান হত্যার বিরুদ্ধে আমাদেরকে প্রতিবাদ জানাতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। চীনের মানবতাবিরোধী গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এখন নীরব। সারাবিশ্বের মুসলিম নেতারা যদি এক না হয়ে চীনকে চাপ না করে তাহলে চীনের মুসলিমদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।