| |
               

মূল পাতা জাতীয় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে শিক্ষাখাত : মোস্তাফা জব্বার


সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে শিক্ষাখাত : মোস্তাফা জব্বার


রহমত ডেস্ক     29 May, 2022     04:24 PM    


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গেছি। স্বাস্থ্যখাতে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। তবে এটা একেবারেই কম। সমাজসেবাও ডিজিটাইজেশনের পথে পিছিয়ে। তবে, সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে শিক্ষাখাত। এই খাতগুলোকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও বেশি ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় স্বাস্থ্য সেবার যে প্রযুক্তিগুলো রয়েছে সেখানে ফোরজি সেবা খুবই কার্যকরী। আমাদের মতো দেশে যেখানে এখনো তৃণমূল পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছাতে পারিনি। সে জায়গাতে এ প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের সেই সেবা দিতে পারি। দেশের বিভিন্ন খাত ডিজিটাইজেশনে এগিয়ে গেলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে।

আজ (২৯ মে) রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২২ উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ১৭ মে পালন করার কথা থাকলেও তা রবিবার পালন করা হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যসম্মত বার্ধক্যের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি’। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্যাম সুন্দর সিকদার।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে ৫জি চালু হলেও এখন পর্যন্ত ফোরজি সেবাই মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে না। আমরা ৫জি পর্যন্ত গেছি। এটা পলিসিগত দিক থেকে আমরা হয়তো করেছি। কিন্তু এখনো ফোরজি ঠিক মতো হয়নি। আমাদের ফোরজি কার্যকর করতে হবে। আমাদের জন্য সুখবর। পৃথিবীতে এখন এ প্রযুক্তি আছে, ফোরজি অবকাঠামোতে কিছু ছোটখাট যন্ত্রপাতি যোগ করলেও তাতে ৫জি সুবিধ পাওয়া যাবে। তবে, অপারেটরদের বলবো আপনারা ফোরজি অবকাঠামো বিস্তার করেন। পরে প্রয়োজন বুঝে যখন যেখানে সেখানে যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ৫জি সেবা দিতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, থ্রিজি থেকে ফোরজি সেবার রূপান্তরে প্রধান সমস্যা পুরো ডিভাইস আপডেট করতে হয়। ফাইভ জির ক্ষেত্রে সেটা হয় না। তাই ফোরজি ও ৫জির চাহিদা নিরুপণ করতে হবে। যখন যেখানে যে সেবা দরকার সেখানে সেই ধরনের সেবা দেবেন। বয়োবৃদ্ধদের সেবায়ও এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রসার হচ্ছে। এটি আরও বিস্তৃতি করতে হবে। এখন দেখা যায়, ছেলে মেয়ে বিদেশি থাকে, বাবা-মা দেশে। তারা বাসায় আইপিও ক্যামেরা বসিয়ে দিয়েছেন। তা দিয়ে দেশে বাবা-মার খেয়াল রাখতে পারছে। যখন যে সেবা প্রয়োজন তা ছেলে-মেয়েরা দিতে পারছেন। আমরা সৌদি টেলিকমিনিকেশনকে ৬০০ জিবিপিএস দিচ্ছি। এটা আমার কাছেও বিস্মিত। আমরা আরো পাঁচশর মতো জিবিপিএস দিতে পারবো। আমাদের কাছে আসামও চেয়েছে। আগামীতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-৩ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।