‘তেলের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেটকে শাস্তির বদলে পুরস্কৃত করা হয়েছে’

তেলের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেটকে শাস্তির বদলে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। শনিবার (৭ মে) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে বলেন, তেলের সিন্ডিকেট করে জনগণের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে সরকার তাদের শাস্তি না দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। ঈদের আগে থেকেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। দোকানে কোনো তেল না পাওয়ার চিত্র তার প্রমাণ।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ঈদের পর সংকট তীব্র হতে থাকে। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এর প্রমাণ বাজারে তেল সংকটের মধ্যেই সরকার দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বৃদ্ধির ঘোষণা করে। এখন জনজীবনে যে দুর্ভোগ নিমে আসবে তার দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী-সচিব কোনও ভাবেই এড়াতে পারে না।

তারা আরো বলেন, সরকার নিজেই প্রমাণ করল দেশের বাজার আজ মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির মত কাজ করেছে। দ্রব্যমূল্য এখন মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

ঈদের আগে সরকার অনেক নাটক করেছে মন্তব্য করে বলা হয়, সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। অথচ এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, এসব সিন্ডিকেট সরকারি দলের নেতারাই তৈরি করেছেন।

সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে যার সুবিধা তো জনগণ পেলই না, উল্টো আরো মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটার সঙ্গে সঙ্গে সরকারেরও পকেট কেটে নিলো। এতেই প্রমাণ হয় লুটেরাদের পক্ষেই সরকার। এটি জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণার সামিল বলে মত দেন বিবৃতিদাতারা।