| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন ঢাকা কলেজের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে টাকা না দিয়ে পাঞ্জাবি নেয়ার অভিযোগ


অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে টাকা না দিয়ে পাঞ্জাবি নেয়ার অভিযোগ


রহমত ডেস্ক     24 April, 2022     07:31 AM    


টাকা না দিয়ে পাঞ্জাবি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা কলেজের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) ববি গার্মেন্টস নামের দোকানের ব্যবস্থা পরিচালক আব্দুল হালিম এ অভিযোগ করেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, দুদিন সংঘর্ষের পর বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে নিউমার্কেট সায়েন্সল্যাব এলকায় অল্প কিছু দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। এদিন বায়তুল মামুর মসজিদ মার্কেটের রুবি গার্মেন্টসের একই মালিকের দুটি দোকান থেকে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন মিলে আটটি পাঞ্জাবি নিয়ে যান।  

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুই দিনের সংঘর্ষের পর বুধবার বিকেলে নিউমার্কেট ও সাইন্স ল্যাব এলাকায় অল্প কিছু দোকান খুলেছিল ব্যবসায়ীরা। থমথমে সেই পরিস্থিতির মধ্যেও সাইন্স ল্যাবের বাইতুল মামুর মসজিদ মার্কেটে একই মালিকের দুটি দোকানে যায় ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আট জনকে দোকানে ঢুকতে দেখা যায়।

সায়েন্স ল্যাবের রেশম ঘর দোকানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, দোকানে আসা ওই ছাত্ররা আটটি পাঞ্জাবি নিয়ে যান, তবে কেউ টাকা দেননি। এ সময় তাদের কাছে টাকা চাইলে তার আসছি বলে চলে যান। কিন্তু পরে টাকা দিতে আর কেউ আসেননি।

এদিকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। এদের একজন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ আলী। তিনি থাকেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলে। তবে অভিযুক্ত মোহাম্মাদ আল বলেন, আগে নেয়া পাঞ্জাবি পাল্টাতে গিয়েছিলেন। মোহাম্মদ আলী স্বীকার করেন, তার সঙ্গে থাকা একজন একটি পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরে ফেরত দিয়েছে।

সিসি টিভি ফুটেজে শনাক্ত করা হয় লাল টি-শার্ট পরা শাহরিয়ার হাসনাত জিওন ও হৃদয় নামে দুই যুবককে। হৃদয়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পাঞ্জাবি নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ফেরত দিয়ে দেবেন। 

মোহাম্মাদ আলীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দলে রফিকুল ইসলাম নামে একজন আছেন। আর হৃদয় নামে আছেন দুই জন। একজনের নাম প্রিতম হৃদয়। অন্যজন মহসিন উদ্দিন হৃদয়।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এমন কিছু ছাত্র আছেন যাদের প্রায় সবাই একই পদ্ধতি অনুসরণ করেন। তারা দোকানে গিয়ে কিছু একটা নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে বলেন বাকিটা পরে দিয়ে যাচ্ছি। থানায় গেলেই যে এর প্রতিকার পাওয়া যাবে ব্যাপারটা এরকম না। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা লোকসান মেনে নিয়েই ব্যবসা করেন। 

 নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউমার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এসি) বলেন, পাঞ্জাবি নেয়ার ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখেছি এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পাঞ্জাবি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানা বা আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ নেই। এ বিষয়টিও গোয়েন্দা পুলিশ দেখছে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স ম কাইয়ুম বলেন, ঢাকা কলেজের তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে টাকা না দিয়ে আটটি পাঞ্জাবি নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে থাকায় কোনো নথি হয়নি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়টি আন্তরিক আন্তরিকতার সঙ্গে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দেখা হবে।