রহমত ডেস্ক 06 April, 2022 07:49 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কয়েকদিন আগে বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গেলো। সেটা এখন কমে ৮০ টাকায় এসেছে। তা বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। বেগুনি না বানিয়ে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি। সেভাবে করা যায়।
আজ (৬ এপ্রিল) বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বক্তব্যে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএম কাদের যেসব কথা বলেছেন, আমাদের সংবিধান পাঠদান করিয়েছেন। তার প্রতিটির উত্তরই আছে। তার সবগুলোর জবাব দেবো। মোটা চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো আছে। সেটা খুব বেশি বাড়েনি। চিকন ও মাঝারি চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আলু পাইকারি বাজারে ২০ টাকা, খুচরা বাজারে ২৫ টাকা। পেঁয়াজের দামের জন্য এখন কৃষক হাহাকার করছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একে তো করোনা, তারপর ইউক্রেনে যুদ্ধ। সব ইউরোপে সাড়ে সাতভাগের ওপরে মূল্যস্ফীতি। কোনো কোনো দেশে ৮০ ভাগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি হয়ে গেছে। এটা হয়েছে একটা করোনার ধাক্কায়, আরেকটা যুদ্ধের ধাক্কায়। সেখানে বাংলাদেশে ছয় ভাগের নিচে আছে মূল্যস্ফীতি। বিরোধী দলের নেতা বলেছেন মাথাপিছু আয়ও যেমন বেড়েছে, একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। এটা হলো বাস্তব। এই করোনার ধাক্কার মধ্যেও আমরা প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক ৯৪ ভাগ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়ে দুই হাজার ৫১১ মার্কিন ডলার হয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বেড়েছে। দারিদ্র্যসীমাও হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতে বিদেশ থেকে কোনো জিনিস কেনার সময় ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকায় কিনে বাকি ১০ টাকা পকেটে ঢুকাতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেটা হয় না। আমরা বরং দাম কমিয়ে আনি। মানুষ যাতে বেশি কষ্ট না পায় সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। জিনিসপত্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।