| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘জাটকা আহরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’


‘জাটকা আহরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’


রহমত ডেস্ক     31 March, 2022     08:25 PM    


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাটকা আহরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে বাজারসমূহে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা হবে। আইন লঙ্ঘনের কোন সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। মাঝেমধ্যে কিছু দুর্বৃত্ত দরিদ্র মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে নিষিদ্ধ সময়ে তাদের জাটকা আহরণে সম্পৃক্ত করে। ইলিশ সম্পদ নষ্ট করার সুযোগ কোনভাবেই কোন দুর্বৃত্তকে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ রাখতে হবে, যাতে দুষ্টু লোকরা জাটকা আহরণ করে সংরক্ষণ করতে না পারে।

আজ (৩১ মার্চ) বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলু রায় প্রমুখ।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বিশ্বের ৮০ ভাগ ইলিশ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে না পারলে আমাদের ইলিশ উৎপাদনের শীর্ষস্থান নষ্ট হয়ে যাবে। তাই জাটকা সংরক্ষণে সম্মিলিত সহযোগিতা থাকতে হবে। একজন মানবিক ও কর্মতৎপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমলে আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-কেউ যেন নির্ধারিত আকারের চেয়ে ছোট ইলিশ মাছ আহরণ না করে, বিপণন না করে। আমাদের লক্ষ্য মৎস্যজীবীরাই ইলিশ মাছ ধরুক, মানুষ মাছ খাওয়ার সুযোগ পাক। কিন্তু সেটা যেন ইলিশ মাছ পরিপক্ক অবস্থায় আসার পর হয়। সারা বিশ্বে উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ ভাগ আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়, ইলিশের জিআই সনদ বাংলাদেশ পেয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের ভাতে-মাছে বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্।