| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন বুয়েটে অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে : পলক


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক / ফাইল ছবি

বুয়েটে অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে : পলক


রহমত ডেস্ক     23 March, 2022     07:12 PM    


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।  শিক্ষার্থীদের রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, মাইক্রোপসেসর ডিজাইনিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতেই এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।  দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার ও শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতষ্ঠা করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ শতভাগ ইন্টারনেট ও অনলাইনে শতভাগ সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি’। এ সকল কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইটি সেক্টরে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয় সম্ভব হবে।

আজ (২৩ মার্চ) বুধবার বুয়েট’র কাউন্সিল বিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় হুয়াওয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘আইসিটি একাডেমী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, বুয়েট’র ইইই বিভাগের প্রধান ডা. মোঃ কামরুল হাসান, বুয়েট’র আইআইসিটি পরিচালক ডা. মোঃ রুবাইয়াত হোসেন মন্ডল ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং। এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

ভবিষ্যতমুখী বিশেষায়িত ভিএলএসআই ল্যাব এবং ইউনিবেটর প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে পলক জানান, এগুলো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মানবসম্পদ তৈরি, চাহিদা পূরণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় দেশে আরো অধিকতর টেকনোলজি এক্সপার্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার গবেষণা ও নিজেদের উদ্ভাবনগুলো পরীক্ষণের সুযোগ করে দিতে বুয়েটের পর ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এগুলো হবে কুয়েট, চুয়েট ও রুয়েট, এবং যশোর ও ঢাকায়। 

পলক বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং ডিজরাপ্টিভ টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে আরো ১০ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হবে। জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সারা দেশে ৩৯ টি হাইটেক পার্ক, ৬৪ টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮শ’ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি ট্যালেন্ট ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘আইসিটি একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।