| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘দুর্ভিক্ষের পথে দেশ রাজনৈতিক সংগ্রামই সমাধান’


‘দুর্ভিক্ষের পথে দেশ রাজনৈতিক সংগ্রামই সমাধান’


রহমত ডেস্ক     23 March, 2022     07:42 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দুর্ভিক্ষের পথে দেশ রাজনৈতিক সংগ্রামই সমাধান। ৪৩% মানুষ দ্রম্যশূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

আজ  (২৩ মার্চ) বুধবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে আগামী ৩১ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশকে সামনে রেখে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর ও থানা নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, মুফতী সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল্লাহ আল খালিদ প্রমুখ।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, টিসিবি’র ট্রাকের পেছনে দৌড়ায় ক্ষুধার্ত মানুষ। সার্বিক পরিস্থিতি বলছে দেশে নিরব এক দুর্ভিক্ষ চলছে। এই দুর্ভিক্ষ কৃত্রিম, সরকার সমর্থিক মধ্যসত্তভোগিদের কারণে পণ্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। ৫০ বছরের বাংলাদেশকে রাজনৈতিক দুর্বিত্তরা দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্যমান নাজুক রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। তারই অংশ হিসেবে আগামী ৩১ মার্চ ঢাকায় জাতীয় মহাসমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকেই এ মধ্যসত্ত্বভোগীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।   মহাসমাবেশ নিয়ে কোন ধরণের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। যে কোন মূল্যে জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করা হবে। যেখানে বাধা হবে সেখানেই এক একটি মহাসমাবেশ সৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয়শিক্ষা সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য -সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।