| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক উপমহাদেশ ‘শতভাগ বিপদে’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান’


‘শতভাগ বিপদে’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান’


রহমত ডেস্ক     16 March, 2022     04:49 PM    


পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক সংগঠন পাকিস্তান মুসলিম লিগ—কায়েদ পার্টির নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে ‘শতভাগ বিপদে’ আছেন। তিনি কীভাবে তার শরিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং জোটে ধরে রাখবেন সেটা তার ব্যাপার। আমি শুধু বলব, বর্তমানে তিনি একশ ভাগ বিপদের মধ্যে আছেন। আজ (১৬ মার্চ) বুধবার পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল হাম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনিেএসব বলেন।

অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যর্থতার অভিযোগে ২০২০ সাল থেকেই ইমরান খানের পদত্যাগ ও অন্তবর্তী নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও মুসলিম লীগ (নওয়াজ) এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত ৮ মার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে এই দু’টি দলের নেতৃত্বে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সেখানে বিরোধীরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে দাবি তোলেন—‘হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো আস্থাভোটের মুখোমুখী হোন’।

গত বছর মার্চে বিরোধীদের দাবিতে প্রথমবারের মতো আস্থা ভোটের মুখোমুখী হয়েছিলেন ইমরান খান, তবে সেবার খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে উৎরে গিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আয়োজিত সেই আস্থা ভোটে জয়ের জন্য ইমরানের ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল এবং তিনি পেয়েছিলেন ১৭৬ টি ভোট। চলতি বছর ফের আস্থা ভোটের মুখে পড়তে হচ্ছে ইমরান খানকে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, আগামী ২৮ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে হতে পারে এই আস্থা ভোট। এবার অবশ্য আস্থা ভোটের বৈতরণী পেরোনো কঠিন হবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কারণ, তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতৃত্বাধীন ৫ দলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ৩টি শরিক দল বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই তিন দল হলো মুসলিম লীগ— কায়েদ পার্টি, বেলুচিস্তান আওয়ামি পার্টি ও মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট। অবশ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও তিন দলের নেতাদের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো।