| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ‘দেশ থেকে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে’


‘দেশ থেকে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে’


রহমত ডেস্ক     16 March, 2022     09:48 PM    


আগামী ৩১ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, জাতীয় মহাসমাবেশ রাজনীতির ময়দানে নতুন ম্যাসেজ দিবে, ইনশাআল্লাহ। দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশ থেকে ইসলামি চেতনাবোধ মুছে ফেলা ও নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণার প্রসার ঘটানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ হয়ে থাকতে পারে। ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এ জাতীয় সিদ্ধান্ত জাতি কখনও মেনে নেবে না। অবিলম্বে এই সুপারিশ বাতিল করতে হবে।

আজ (১৬ মার্চ) বুধবার বিকালে ইসলামী যুব আন্দোলন বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত টাউন হল চত্বরে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বরিশাল জেলা সভাপতি মাওলানা সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াহ উপদেষ্টা মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামী যুব আন্দোলনের  সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস হাসান, মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা ইউনুছ তালুকদার, মাওলানা কাজী বেলাল হোসাইন, মাওলানা আরিফুর রহমানসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, নৈতিক শিক্ষার অভাবে সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। আর নৈতিকতা আসে ধর্ম থেকে। ধর্ম শিক্ষা পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। আজ চারিদিকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, খুন, গুম, দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ধর্মীয় নৈতিকতার অভাবে। সন্তানকে আনুগত্যশীল করতে ধর্মীয় শিক্ষা অত্যাবশ্যক। সন্তানকে মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা তৈরি হবে না।

তিনি আরো বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় বিষয় বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে পরবর্তী সময়ে যারা দেশ পরিচালনা করবে তারা আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এতে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে খারাপ প্রভাব পড়বে। সব স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা তৈরি হবে না। তাই সরকারের কাছে ধর্মীয় শিক্ষাকে অত্যাবশ্যক করার অনুরোধ জানাই। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে সেভাবে মানুষের আয় না বাড়ায় মানুষ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্য শ্বাসরোধকর অবস্থায় চলে গেছে। জনগণের জীবন এখন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সুতরাং দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।