| |
               

মূল পাতা রাজনীতি সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায় : মির্জা ফখরুল


সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায় : মির্জা ফখরুল


রহমত ডেস্ক     07 March, 2022     04:57 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়, তারেক রহমানের যে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। এই দক্ষতার কারণেই তিনি অতি অল্প সময়ে সারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। এই দক্ষতা তারা দেখেছে। যখন তাকে সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এর দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তিনি তৃণমূল পর্যন্ত দেখাশোনা করেন। তখন তারা পরিকল্পনা করতে থাকেন যে, এই মানুষ যদি দেশে থাকে তাহলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। তাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা একটার পর একটা দিয়েছে। তিনটা এফআইআর-এ তারেক রহমানের নামে ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করে তারেক রহমানের নাম ফাইলের যুক্ত করে নতুন করে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। কোনো প্রমাণ তার বিরুদ্ধে নেই। যে বিচারক তাকে মুক্ত দিয়েছিলেন, তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। শুধু তাকে নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সাহেব, তাকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

আজ (৭ মার্চ) সোমবার রাজনীতির সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ মিলনায়তনে তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  বিএনপর সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গোলাম মোর্শেদ, ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় আনা একই চক্রান্তের অংশ। এ চক্রান্ত শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল বিরাজনীতিকরণ করে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই উদ্দেশে ১/১১ অবৈধ সরকার দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়িয়ে বিচারবিভাগ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে ওই শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল, যারা বাংলাদেশের ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের শক্তি। আওয়ামী লীগ সেই দিন সেই অবৈধ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতা এসেছিল, ১/১১ সরকারের পর শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পরিষ্কার করে বললেন— এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। এটা তখনই প্রমাণিত হয়ে গেছে, এই দুই বছরে তাদের যে নীলনকশা ছিল তা বাস্তবায়িত করেছে। সেই সময় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার। আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যিনি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। তাকে মুক্তি দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার পরে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে দুর্নীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে সাধারণ মানুষের এখন আর বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বাড়ানো হচ্ছে, যেখানে আর বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের আর কোনো অধিকার নেই এই রাষ্ট্র পরিচালনা করার। এখন আর সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। আসুন আমরা নিজেদের সঙ্ঘবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করি। সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করি। একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে তাদের পরাজিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।